বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১শ শয্যার বরিশাল জেনারেল হাসপাতালকে ‘করোনা ডেডিকেটেড হসপিটাল’এ রূপান্তর করা হচ্ছে। এলক্ষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করে খুব শীঘ্রই এ অনুমোদন মিলবে বলে আশা করছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন। ইতোমধ্যে হাসপাতালটির ১১ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডটিকে করোনা ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো হাসপাতালেই নতুন সাধারণ রোগী ভর্তি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
গত বছর ১০মার্চ বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সদ্য নির্মিত ৫ তলা ভবনে ১২৫ শয্যার করোনা ওয়ার্ড চালু করা হয়। পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ডটি ২৭৮ শয্যায় সম্প্রসারন করা হলেও গত মাসখানেক ধরে রোগীর স্থান সংকুলন হচ্ছেনা। হাসপাতালটির ২২টি আইসিউ বেডে এখন ২৫ জনের বেশী রোগীর চাপ সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিশাল হাসপাতালটির এ ওয়ার্ডে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ১২টি।
গোটা হাসপাতালে ৭৩টি হাইফ্লোন্যাজাল ক্যানাল’র ৫৩টিই করোনা ওয়ার্ডে স্থাপন করা হয়েছে। ১টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ছাড়াও ১০৫টি সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের সাহায্যে সরবারহ অব্যাহত রয়েছে। ১ হাজার শয্যার এ হাসপাতালে প্রতিনিয়ত দেড় হাজারেরও বেশী রোগী চিকিৎসাধীন থাকছে। এসব রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা সাড়ে ৫শর মত।
হাসপাতালটির আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে প্রায় ৬ হাজার রোগী ভর্তি করা হলেও তারমধ্যে মারা গেছেন প্রায় ৮শ জন। গত ১৬ মাসে এ বিপুল সংখ্যক মৃতদের মধ্যে করোনা পজিটিভ নিয়ে এ হাসপাতালে সোয়া ২শর মত মৃত্যু হয়েছে। আর আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা গেছেন প্রায় ৬শ । করোনা ওয়ার্ডে ভর্র্তিকৃত সর্বমোট দেড় হাজার রোগীর মধ্যে সাড়ে ১২শরও বেশী ছাড়পত্র লাভ করেছেন। মৃত্যু হয়েছে সোয়া ২শ জনের। অপরদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে প্রথমে হাসপাতালটির আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রায় ৪ হাজার রেগী ভর্তি হয়েছেন, তারমধ্যেই মারা গেছেন প্রায় ৬শ।
দক্ষিনাঞ্চলে করোনা সংক্রমন প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরী করছে। দৈনিক সনাক্তের হার এখন প্রতিদিনই সাড়ে ৫শ থেকে সাড়ে ৮শ পর্যন্ত। ফলে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আর তিল ধরার ঠাই নেই। রোগীর চাপ আর চিকিৎসক সহ চিকিৎসা কর্র্মী সংকটে বৃহত এ হাসপাতালটির চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়ার উপক্রম। শুধু বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলাই নয়, পাশ^বর্তি মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ ছাড়াও খুলনা বিভাগের বাগেরহাটের করোনা আক্রান্তরা পর্যন্ত বরিশালে আসছেন চিকিৎসা লাভের আশায়।
কিন্তু স্থান সংকুলনের অভবে অনেক সময়ই দিনের পর দিন অনেক কোরানা রোগী যথাযথ চিকিৎসা লাভের বঞ্চিত হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন বরিশালের জেনারেল হাপসতালটিকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করায় সে লক্ষে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। হাসপাতালটিতে প্রাথমিক অবস্থায় নুন্যতম ৮০ জন রোগীকে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মলয়। এছাড়া চিকিৎসার অন্যসব ব্যবস্থাও ইতেমধ্যে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এরফলে বরিশাল মহানগরীতে প্রায় ৩৮০টি বেডে করোনা চিকিৎসা নিশ্চিত হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।