Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ডায়বেটিসের রোগীরা খালি পায়ে হাঁটবেন না

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির


ডায়াবেটিস বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রচুর ডায়াবেটিসের রোগী। ডায়াবেটিস চিরদিনের অসুখ। একবার হলে চিরজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। ডায়াবেটিসের জটিলতাও অনেক। তাই সতর্ক থাকা উচিত।

ডায়াবেটিস হলে ইনফেকশন বেশি হয়। ইনফেকশন হলে সহজে সারতে চায় না। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে ইনফেকশন দ্রুত সেরে যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রেখে যত দামি এন্টিবায়োটিকই খাওয়া হোক না কেন লাভ নেই। আগে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ পরে এন্টিবায়োটিক।

ডায়াবেটিসের রোগীদের খালি পায়ে হাঁটা ঠিক নয়। এসব রোগীদের নার্ভে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। সেজন্য অনুভূতি কমে যায়। ছোটখাট আঘাত অনেক সময় রোগীরা বুঝতে পারে না। এসব ছোট আঘাতই অনেক সময় বড় হয়ে দাঁড়ায়। পা পচেও যেতে পারে। পা কেটে ফেলতে হতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের দরজার পাশেই সবসময় জুতা স্যান্ডেল রাখা উচিত। জুতা কেনার সময় নরম এবং আরামদায়ক জুতা বেছে নিতে হবে। হিল পরিহার করা উচিত। জুতা কেনা উচিত সন্ধ্যার দিকে কারণ এ সময় পায়ের দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি থাকে। জুতা খুব ছোট বা বড় হওয়া উচিত নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ঘরের ভেতরেও স্যান্ডেল বা জুতা পরা উচিত। কারণ অনেক সময় ধারালো কোন বস্তু ঘরের মেঝেতে থাকতে পারে। জুতা পরার আগে ইটের টুকরা বা এজাতীয় অন্য কিছু আছে কিনা দেখা উচিত। কারণ এগুলো থেকে ক্ষত হয়। তা থেকে বিশাল ঝামেলাও হয় অনেক সময়।

ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময় সচেতন থাকতে হবে। একটু অসতর্ক হলেই অনেক বড় মাশুল দিতে হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডায়বেটিসের রোগীরা খালি পায়ে হাঁটবেন না
আরও পড়ুন