২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ডা : মাওলানা লোকমান হেকিম
সজনার গাছে তেমন একটা সারের প্রয়োজন হয় না। তবে ফুল আসার আগে গাছপ্রতি ৩০০-৫০০ গ্রাম টিএসপি, ১০-১৫ কেজি গোবর ও ৪-৫ কেজি ছাই ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। সজনার পাতা, ফুল ও অপক্ব ফল সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশে সজনা পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এছাড়া পাতা ও ফুল বেটে ভর্তা করে খাওয়া হয়। সজনার ছাল (ওপরের অংশ বাদ দিয়ে) এবং কোনো কারণে গাছ উপড়ে গেলে কন্দাল শিকড়ও ভর্তা, ভাজি করে খাওয়া যায়। শিকড় ও ছালের শাঁস ঝাঁঝালো, সুরিনামে বীজ ভেজে খাওয়া হয়। পুষ্টিগুণ ছাড়াও সজনায় অনেক ভেষজগুণ বিদ্যমান। সজনে ডাঁটা : বাতরোগ, শিরপীড়া, গোদ, গলগ- রোগের জন্য সজনা ডাঁটা খুবই উপকারী। সব ধরনের ব্যথা, কাশি, নাকমুখ থেকে রক্তপড়া, মোটা হয়ে যাওয়া শ্বাসকষ্ট, কুষ্ঠ ও ক্ষয়রোগে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। হার্টের অসুখে এবং পিলে বড় হয়ে গেলেও সজনা ডাঁটা খেলে এর উপশম হয়। এছাড়া সজনা চুলের জন্য বেশ উপকারী, হজম হয় তাড়াতাড়ি, ক্ষিধে বাড়ায় এবং বীর্য বৃদ্ধি করে। সজনা পাতা : সজনে ডাঁটার মতো এর পাতার যথেষ্ট গুণ রয়েছে। সজনে পাতা শাক হিসেবে, ভর্তা করেও খাওয়া যায়। এতে মুখের রুচি আসে, পাতার রস খাওয়ালে শ্বাসকষ্ট সারে ও হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়। পাতার ক্বাথ তৈরি করে হিং ও শুকানো আদার গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়ালে পেটের গ্যাস বেরিয়ে যায়। বার্মিজ চিকিৎসকদের মতে সজনের পাকা পাতার টাটকা রস দু’বেলা খাবার ঠিক আগে ২-৩ চা চামচ করে খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। তবে ডায়াবেটিস থাকলে তা খাওয়া নিষেধ। পাতা বেটে অল্প গরম করে ফোঁড়ার ওপর লাগালে ফোঁড়া ফেটে যায়। পাতার রস মাথায় ঘষলে খুসকি দূর হয়। সাময়িক জ্বর, অশ্ব, চোখে পিছুটি পড়া, মাড়ি ফোলা ইত্যাদি রোগ নিরাময়েও সজনে পাতার ব্যবহার রয়েছে। সজনে পাতার রসে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। সজনা ফুল : শরীরের ঊষ্ণতা বৃদ্ধি করে। কফ ও বায়ুনাশ করে। কৃমি ও পিলের রোগ সারায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে ও হজমশক্তি বাড়ায়। অনেকের মতে বসন্তকালে সজনা ফুল খেলে এসব অসুখ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। সজনার ছাল : সজনার ছাল (ওপরের শক্ত অংশ বাদ দিয়ে) ভাজি করে খেলে ঠা-া দূর হয়। ছালের হাল্কা গরম ক্বাথের ওপর বসালে অশ্বরোগীর ব্যথা সারে। ছালের ক্বাথ, লবণ, পিপুল গুঁড়ো বিএল মূলচূর্ণ থেতো করে পুলটিন তৈরি করে বাঁধলে ফোঁড়া পেকে ফেটে যায়। ছাল ঘসে লাগালেও ফোঁড়া তাড়াতাড়ি সেরে যায়। সাজনার মূল : সজনার মূলের রসে গোল মরিচ মিশিয়ে নস্য দিলে টাইফয়েড রোগীর মূর্ছা সেরে যায়।
লেখক : চিকিৎসক, কলামিষ্ট-০১৭১৬২৭০১২০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।