পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চুরির অপবাদে শিশুকে ডেকে ভরা মজলিশে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হামলাকারীদের হুমকির মুখে আতঙ্কে অসহায় পরিবার। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের যুগিহাটি গ্রামের মৃত খালেক মোল্লার ছেলে প্রভাবশালী বেল্লাল মোল্লা, জলিল মোল্লা, ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে জহুরুল হাওলাদার, মৃত নাসির হাওলাদারের ছেলে ইসমাইল হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন মিলে গত বুধবার বিকেলে একই এলাকার মৃত কালাম খানের নাবালক ছেলে শফিক খান (১৪)কে তাদের বাড়িতে ডেকে চুরির অপবাদ দিয়ে ভরা মজলিশে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় শিশুর মা রেহেনা বেগম প্রতিবাদ করলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে ও ভয়ভীতি-হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
জানা যায়, ঘটনার পূর্বের দিন বেল্লাল মোল্লার ঘর থেকে ১ হাজার টাকা খোয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই শিশুর ওপর চুরির অপবাদ দিয়ে গত ১৪ জুলাই বিকেলে প্রভাবশালীরা বাটি চালান ও চাল পড়া দেয়। এসময় ৬০/৭০ জন লোক জড়ো হয়। সেই ভরা মজলিশেই শিশু ও তার মায়ের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। এ ব্যাপারে শিশুর মাতা রেহেনা বেগম বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার উজিরপুর মডেল থানায় উল্লিখিদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত বিল্লাল মোল্লা জানান, আমার ঘর থেকে ১ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। সে ঘটনায় বাটি চালান ও চাল পড়া দিয়ে শফিককে চোর সনাক্ত করে তারপর তাকে মারধর করেছি। আরো জানান, ওই এলাকার হানিফ হাওলাদারের ছেলে নাজু বেগম বাটি চালান দিয়ে শফিককে চোর সনাক্ত করে। অভিযুক্ত জলিল মোল্লা জানান, চুরি করেছে বিধায় মারধর করেছি। এ ঘটনায় এলাকায় শালিশ বৈঠকে হলেও রাজি আছি এবং আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও তাতে কোন ক্ষতি নেই।
শিশুর মাতা রেহেনা বেগম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের খুব কষ্ট করে লালন-পালন করছি। আমার নাবালক ছেলে শফিককে ওই প্রভাবশালীরা ক্ষমতার দাপটে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে এবং আমি প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকেও মারধর করেছে। এরপরেও আমাদের পরিবারের সকল সদস্যদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে তারা। তারা গরীব অসহায়দের মানুষ মনে করেন না। আইনকে তোয়াক্কা করছেনা তারা।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি আলী আর্শাদ জানান, আইন আইনের গতিতেই চলবে। কোন অপরাধী পার পাবেনা। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।