মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো ও টিকা নিতে নিজ নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছে স্কট মরিসন সরকার। করোনায় ধুঁকতে থাকা এক নারীকে অক্সিজেন দেয়ার পরও শ্বাস নিতে লড়াই করতে দেখা গেছে। এমন বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। অস্ট্রেলিয়ার ঘনবসতি সিডনি ও কয়েকটি রাজ্য করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ১২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য সঙ্কটে পড়েছে সিডনি। সিডনিতে গত সোমবার ১১২ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, যা আগের দিনের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি। সংক্রমণের দিক দিয়ে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা এই শহরটি। নিউজ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেন, ‘মানুষ কিছুদিনের জন্য ঘরে থাকলে ভাইরাস ছড়ানো সম্ভব না। এজন্য সাধারণ মানুষকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার জোর আহবান জানাচ্ছি’। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় শহরটিতে গত এপ্রিলের পর এই প্রথম একজন কোভিডে মারা গেছেন। ডেল্টার প্রকোপের কারণে গত মধ্য জুন থেকে লকডাউনে রয়েছেন প্রায় ৬০ লাখ মানুষ। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণকে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ভ্যাকসিন নীতিকে দায়ী করছেন অনেকে। কোভিডের চ‚ড়ান্ত সময়েও দেশজুড়ে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারেনি তার সরকার। এজন্য বিরোধীদলগুলো মরিসনকেই দুষছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বøুমবার্গ-এর ভ্যাকসিন ট্র্যাকার বলছে, অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার তুলনায় মাত্র ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্র ৫২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষকে টিকা নিয়েছে। সোমবার এক সাক্ষাৎকারে ইউনিভার্সটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস-এর অধ্যাপক বিল বাউটেন বলেন, সিডনি গুরুতর সঙ্কটের মুখোমুখি, যা কিনা গত ১২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ স্বাস্থ্য সঙ্কটে পড়েছে। বিধিনিষিধের সময় মানুষকে ঘরে থাকাটা প্রয়োজন। কারণ লকডাউন থেকে দ্রæত বের হতে চাইলে, এছাড়া উপায় নেই। গত বছরে মেলবোর্নকে বিশ্বের দীর্ঘতম লকডাউনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এদিকে অর্থনীতিবীদ শেন অলিভার বলেন, দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যখন বিধিনিষেধ মেনে চলবে তখন সংক্রমণও কমে আসবে। ফলে লকডাউনের প্রয়োজন হবে না। পুরো অস্ট্রেলিয়াতেই ভারতীয় করোনার অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে নতুন নতুন রোগী। বিশেজ্ঞদের মতে, সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে হলে নাগরিকদের টিকার আওতায় আনতে হবে। বিবিসি, বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।