নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইংল্যান্ডের হয়ে টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন মার্কাস রাশফোর্ড, জ্যাডোন সাঞ্চো আর বুকায়ো সাকা। এই তিনজনকে নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হচ্ছে বর্ণবাদী ট্রল। বিষয়টি অবগত হয়ে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন, তদন্ত শুরু করেছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
পেনাল্টি নিতেই মাঠে নামানো হয়েছিল রাশফোর্ড আর সাঞ্চোকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ইতালি গোলরক্ষক দোন্নারুমা ঠেকিয়ে দেন সাঞ্চোর শট। শেষ শটে গোল হলে সমতায় থাকত ইংল্যান্ড। কিন্তু সাকার শটও বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন দোনারুম্মা। এতে ট্রাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ইংল্যান্ডের, চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি।
এরপর বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে উগ্র সমর্থকদের ট্রলের শিকার হন এই তিনজন। এবং সবচেয়ে দুঃখজনক ট্রলের জন্য বেছে নেওয়া হয় তাদের গায়ের রঙ। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বংশোদ্ভুত ইংলিশ ফুটবলার রাশফোর্ড, ত্রিনিদাদ টোবাগো বংশোদ্ভুত জ্যাডোন সাঞ্চো ও নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভুত বুকায়ো সাকা।
এমন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন থেকে বিবৃতি আসে। যেখানে বলা হয়, ‘এই গ্রীষ্মে আমাদের স্কোয়াডের খেলোয়াড়রা ইংল্যান্ডের জার্সির জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ নিংড়ে দিয়েছে। অথচ আজ রাতের খেলা শেষে তারাই বৈষম্যমুলক আচরণের শিকার। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে আছি।’
দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) আলাদা এক বিবৃতিতে বর্ণবাদী আচরণের চরম নিন্দা জানানো হয়, ‘এফএ এই ধরণের বৈষম্যমুলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানায়। আমাদের দলের কিছু খেলোয়াড়দের লক্ষ্যে করে অনলাইনে বিদ্বেষমূলক কথা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই এই ধরণের আচরণ যারা করে তারা আমাদের দলের ভক্ত হওয়ার জন্য স্বাগত নয়।’
পুরো টুর্নামেন্টে রেসিজমের বিরুদ্ধে সরব ছিল ইংল্যান্ড স্কোয়াড। খেলার আগে হাঁটু গেড়ে নিজেদের অবস্থান জানায় তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।