নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টাইব্রেকারে শেষ শটটি নিতে যাচ্ছেন বুকোয়া সাকা। লড়াইটা তখন শুধু ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি দোনারুম্মা ও সাকার মাঝে। ইতালির অধিনায়ক জর্জিও কিয়েল্লিনি তখনই দাবার বোর্ডে নতুন চাল দিলেন। সাকার উদ্দেশে ‘অভিশাপ’ দিয়ে চিৎকার করে বললেন ‘কিরিকোচো’! মনে হতে পারে এ আবার কেমন অভিশাপ? কিন্তু এই অভিশাপেই কি না কে জানে, পেনাল্টি ঠিকই মিস করেছেন সাকা। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরোর ফাইনাল জিতে নিয়েছে ইতালি। অভিশাপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কিয়েল্লিনি নিজেও।
এরপর থেকে আলোচনায় ‘কিরিকোচো’। এটি ফুটবলীয় একটি অভিশাপ, যা কি না ফুটবলাররা কয়েক দশক ধরে প্রতিপক্ষের দুর্ভাগ্য কামনায় বলে থাকেন। হতে পারে এটি কুসংস্কার। কিন্তু মানসিকভাবে এগুলো নিশ্চয় খেলোয়াড়দের মাঝে প্রভাব ফেলে। সাকার মধ্যেও নিশ্চয় ফেলেছিল। কিরিকোচো মূলত মানুষের নাম। যাঁর পুরো নাম জুয়ান কার্লোস কিরিকোচো। ফুটবলভক্ত কিরিকোচোর অভিশাপ হিসেবে আবির্ভ‚ত হওয়ার গল্পটি বেশ অদ্ভুত। তিনি ছিলেন আশির দশকে আর্জেন্টাইন ক্লাব এস্তোদিয়ান্তেস দা লা প্লাটার একজন পাঁড় সমর্থক।
প্লাটার এই ভক্ত ক্লাবের অনুশীলন দেখতেও হাজির হয়ে যেতেন। কিন্তু ক্লাবের কোচ কার্লোস বিলার্দো এক সময় লক্ষ করলেন, কিরিকোচো মাঠে এলেই তার দলের খেলোয়াড়েরা অদ্ভুতভাবে চোটে পড়ে। কিরিকোচোকে এরপর বিলার্দো ডেকে বলেন সে যেন প্রতিপক্ষের অনুশীলনের সময়ও মাঠে গিয়ে উপস্থিত থাকে। যাতে কিরিকোচো তার ‘অলৌকিক’ শক্তি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের ক্ষতিসাধন করতে পারে! বিলার্দো পরে বলেছিলেন, ‘কিরিকোচো তখন থেকেই সব সময় আমাদের সঙ্গে ছিল। ১৯৮২ সালে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আমরা তাঁকে মাসকট হিসেবে গ্রহণ করি।’ এরপর থেকেই কিরিকোচোর এই রহস্যময় ঘটনা ফুটবল বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এখন খেলোয়াড়েরা নিয়মিত এই শব্দটি ব্যবহার করেন প্রতিপক্ষকে অভিশাপ দিতে ও মানসিক চাপে ফেলতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।