নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোপা আমেরিকা নিষ্পত্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নির্ধারনী লড়াইয়ে নামছে ইংল্যান্ড ও ইতালি। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হচ্ছে রাত ১টায়।
টুর্নামেন্টের পারফরমেন্স বিবেচনায় যোগ্য দল হিসেবেই দল দুটি ফাইনালের টিকিট কেটেছে, এখন অপেক্ষা শেষ লক্ষ্য পূরণের। স্বাগতিক হিসেবে ফেভারিট হিসেবেই নামছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালের পর বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে থ্রি লায়ন্স। ৫৫ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে প্রথমবারের মত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার স্মৃতিটাও স্মরণীয় করে রাখতে চায় গ্যারেথ সাউথগেইটের দল।
টুর্নামেন্টে সাত ম্যাচের মধ্যে ৫টিই নিজ মাঠে খেলেছে ইংল্যান্ড। ফাইনাল হতে যাচ্ছে একই মাঠে তাদের ছয় নম্বর ম্যাচ। ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনস জানান ফাইনালে ভারমুক্ত হয়েই নামছেন তারা, ‘সত্যিই অসাধারন এক অনুভূতি। ওয়েম্বলিতে ফাইনাল খেলা মানে এটি আরও স্পেশাল। টুর্নামেন্টের শুরুতে এই স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম। খুব বেশি চাপ নিচ্ছিনা। যেভাবে টুর্নামেন্টে এগিয়েছি গেছি সেটা ধরে রাখতে চাই। গত কয়েক দিন কয়েকটা কঠিন ম্যাচ খেলতে হয়েছে।’
ফাইনালে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারছেন না ফিল ফডেন। ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড ছাড়া বাকি তারকা আছেন সেরা ছন্দে। সাউথগেইট শেষ ম্যাচের একাদশ থেকে পরিবর্তন নাও করতে পারেন।
ফিফা বা ইউয়েফার টুর্নামেন্টে এখনও ইতালিকে হারাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ইউক্রেনে ২০১২ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল পেনাল্টি শুট আউটে জিতে নেয় ইতালি। ২০১৪ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ইতালির কাছে ইংল্যান্ড হেরে যায় ২-১ গোলে।
তবে গত তিন বছরে আমূল বদলে গেছে দুই দলের চেহারা। কোচ রবার্তো মানচিনির অধীনে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থেকে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ইতালি। ওয়েম্বলিতে এনিয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে মানচিনির ইতালি।
এর আগে শেষ ১৬-তে এই মাঠেই অস্ট্রিয়াকে অতিরিক্ত সময়ে ২-১ গোলে ও স্পেনকে সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
একই মাঠে কয়েকদিনের ব্যবধানে খেলাটা ইতালিয়ানদের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে। ফাইনালের আগে ইতালির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার লিওনার্দো বনুচ্চি বলেছন, ‘তাদের মাঠে খেলা নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই। ফাইনালের দিন বেশিরভাগ ইংল্যান্ডের সমর্থক থাকলেও নিজেদের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যাব। ঐতিহাসিক কিছু করে দেখাতে চাই।’
সেমিফাইনালে যুক্তরাজ্য বসবাসকারী ১১ হাজার ইতালিয়ান সমর্থক মাঠে উপস্থিত ছিলেন। ফাইনালে আবারও তাদের দেখা মিলবে। ইতালি থেকেও এক হাজার দর্শকের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেল্লাও ফাইনালে মাঠে উপস্থিত থাকবেন।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইতালিও দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা কাটিয়ে সফল হয়ে ঘরে ফিরতে মুখিয়ে আছে। সবশেষ ১৯৬৮ সালে একমাত্র ইউরো শিরোপা জিতেছে তারা। এরপর ২০০০ সালের ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ও ২০১২ সালে স্পেনের কাছে পরাজিত হয়। রোববারের ম্যাচটি ইউরো ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে ইতালির ১০ম ফাইনাল।
ইতালিরও ফাইনালের আগে বড় কোনো ইনজুরি সমস্যা নেই। মানচিনির ‘ব্লু মেশিনস’ নিজেদের আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দিতে মুখিয়ে আছে।
সম্ভাব্য একাদশ
ইংল্যান্ড: পিকফোর্ড, ওয়াকার, স্টোনস, ম্যাগুয়ার, শ, ফিলিপস, রাইস, মাউন্ট, সাকা, কেইন ও স্টার্লিং।
ইতালি: ডোনারুমা, ডি লরেঞ্জো, বনুচ্চি, কিয়েলিনি, পালমিয়েরি, বারেল্লা, জর্জিনিয়ো, ভেরাত্তি, কিয়েসা, ইমোবিলে ও ইনসিনিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।