নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোন বড় আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতলো আর্জেন্টিনা। দলটির জন্য এটা ছিলো কোপা আমেরিকার ১৫তম শিরোপা। আর্জেন্টিনা দলের হয়ে লিওনেল মেসি পেলেন প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। ১-০ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার এই ট্রফি জয়ে নেটদুনিয়ায় বইছে খুশির বন্যা। আনন্দে মেতে উঠেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
কোপা আমেরিকার ফাইনাল প্রসঙ্গে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেইসবুকে লিখেন, ‘ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন আর্জেন্টিনাকে ৫-০ গোলে হারাবেন। ২২ মিনিটে ডি মারিয়ার গোলের পর বলেছিলাম, এটা ফাইনাল ম্যাচ। সহজে গোল দিতে পারবে না ব্রাজিল। ছেলেকে বললাম, আর্জেন্টিনা যদি ৭০-৭৫ মিনিট লিড ধরে রাখতে পারে, তাহলে আরো গোল দিতে পারবে। কারণ ব্রাজিল তখন অলআউট খেলবে। এই সুযোগে কাউন্টার এটাকে আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ফরোয়ার্ডরা গোল করবে। মেসি ওই চরম মিসটা না করলে কথাটা সত্য হতে পারত।আমার দৃষ্টিতে আর্জেন্টিনার কোচ স্ক্যালোনির কৌশলের কাছে হেরেছে ব্রাজিল। ডি মারিয়া যে গোলটি করেছে সেটি তাদের মূল খেলার পরিকল্পনার অংশ ছিল। শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা খুব বেশি আক্রমণে যায়নি, বরং দলের মূল খেলোয়াড় মেসিকে অনেকটা নিচে নামিয়ে মাঝ মাঠে খেলিয়েছে। তারা ব্রাজিলকে উঠে খেলতে দিয়ে লম্বা পাসে কাউন্টার অ্যাটাক এর কৌশল নিয়েছিল। ২২ মিনিটের এই গোলের আগেও একবার একইভাবে ডি মারিয়াকে পাস দেয়া হয়েছিল কিন্তু সেবার ডি মারিয়া সফল হয়নি। বিরতির পর ডি মারিয়াকে কিছুটা পেছনে ঠেলে একই কৌশল লাউতারো কে দিয়ে সাজিয়েছিল কিন্তু সফল হয়নি। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দুই দলই প্রতিপক্ষের সেরা দুই খেলোয়াড় মেসি ও নেইমারকে বডি চেক দিয়ে খেলেছে। তাদেরকে বল নিয়ে বেরোতে দেয়নি। তারা চেষ্টা করে যখন সফল হয়েছে, তখন ফাউল করে ফেলে দিয়েছে। এতে ফাইনালে দুই তারকা বিখ্যাত ড্রিবলিং দেখা থেকে দর্শক বঞ্চিত হয়েছে।’
মেরাডোনা ও মেসির একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে সাংবাদিক ও গীতিকার তারেক আনন্দ লিখেন, ‘৮৬’র নায়ক, স্বর্গ থেকে দেখছ নিশ্চয়ই। আজ তোমার সন্তানের মুখে হাসি ফুটেছে। তোমার আশির্বাদে বিশ্বের বুকে দেশের ট্রফি উঁচু করে ধরেছে। আরেকটা ট্রফি দেখার কতনা ইচ্ছা ছিল তোমার। আজ তোমার চেয়ে বড় খুশি আর কে হতো?’
অভিনন্দন জানিয়ে এমডি ইয়াসিন শেখ লিখেন, ‘অভিনন্দন প্রিয় দল ও প্রিয় খেলোয়ারকে,তবে ব্রাজিলও চমৎকার খেলছে। তাদের জন্য শুভ কামনা রইল৷’
মেসি কান্না ও ট্রফি হাতের দু’টি ছবি পোস্ট করে মুহাম্মদ আদিল লিখেন, ‘যদি শোকগাথা হাতে বহুদূর যাও একদিন ঠিকই এনে দিবো হাসিমুখ।’
সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল ওয়াসী লিখেন, ‘মেসি একটা শক্তির নাম। মার্টিনেজ একটা দেয়াল। অ্যানহেল ডি মারিয়া দুর্বল হলেও গতি আছে। নেইমার ও ব্রাজিল দারুন খেলেছে। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা।’
ট্রফি হাতে মেসি বাহিনীর ছবি শেয়ার করে ইশতিয়াক আহমেদ লিখেন, ‘এমন একটা দৃশ্য দেখার জন্য কত সহস্র রাত জেগেছি, কত বিষাদ বুকে চেপে ঘুমিয়ে পড়েছি, কত দীর্ঘশ্বাস আড়াল করে হেঁটে গেছি অগণন পথ...’
ইব্রাহিম শান্ত লিখেন, ‘ফুটবলের জয় হলো। অভিনন্দন মেসিকে এবং শুভ কামনা রইল নেইমারের জন্য!’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।