নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মুখোমুখি ইংল্যান্ড ইতালি ড্র
২৭ ৮ ১১ ৮
আর কিছুক্ষণ পরেই ইউরোর শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নিজেদের দলকে ডাগআউট থেকে পরিচালনা করতে দেখা যাবে গ্যারেথ সাউথগেট এবং রবার্তো মানচিনিকে। তবে তার আগে ইতালি কোচের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।
দুই কোচই রিমোট কন্ট্রোল হাতে নিয়ে দুই জাতীয় দলের ভাগ্য বদলে দিতে সক্ষম হয়েছেন। ইংল্যান্ডের পাঁচ বছর আগে ইউরো হতাশার পর দলকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি এই ইউরোয় ৫৫ বছর পর কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছতে সাহায্য করেছেন সাউথগেট।
অন্যদিকে মানচিনির দায়িত্ব নেয়ার আগে ইতালির চিত্রটা ছিল বেশ খারাপ। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি ইতালি। তারপর দলের দায়িত্ব নিয়ে বর্তমানে টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত। প্রথাগত ডিফেন্স প্রধান ফুটবলে আমূল পরিবর্তন এনে মানচিনির ইতালির খেলা অনেক দৃষ্টিনন্দন, আকর্ষনীয়। চেনা-পরিচিত ইতালিয়ান ঘরানার ফুটবলের বদলে মানচিনি আজ্জুরিদের বর্তমান ফুটবলে আধুনিকতা এনেছেন বলেই মনে করছেন তার প্রতিপক্ষ কোচ সাউথগেট, ‘ওরা (ইতালি) দারুণ উদ্যম এবং এনার্জি নিয়ে নিজেদের ফুটবলটা খেলে। পরিকল্পনার দিক থেকে দেখতে গেলে ইতালিয়ান দল বরাবরই খুব ভাল। তবে ওরা বর্তমানে যে ধরনের ফুটবল খেলে, তা বাকি সকল ইতালিয়ান দলের থেকে আলাদা, অনেক বেশি আধুনিক।’
পাশাপাশি ইতালি এবং ইংল্যান্ড যোগ্য দল হিসাবেই ফাইনালে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে বলে ধারণা সাউথগেটের, ‘আমি বিগত দু’বছর ধরে ইতালির খেলা খুব ভালভাবে লক্ষ্য করছি। আমি জানি মানচিনি ওদের হয়ে দুর্দান্ত কাজ করছে। ওরা দলগতভাবে দুর্দান্ত। আমার মনে হয় টুর্নামেন্টের দুই সেরা দলই ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করতে সক্ষম হয়েছে।’
অন্যদিকে ইতালির কোচ রবের্তো মানচিনি দলকে উঠিয়ে এনেছেন অনন্য উচ্চতায়। তিনি যা করে দেখিয়েছেন, তা ছিল অনেকের দৃষ্টিতেই অবিশ্বাস্য। এ কথা জানেন তিনিও। তার ভাষ্যেও ফুটে উঠল সে কথাই, ‘প্রায় কেউই বিশ্বাস করেনি আমরা ফাইনালে উঠতে পারব। তারপরও আমরা এখানে (ফাইনালে)।’
দলের সবার অক্লান্ত পরিশ্রমেই এ অর্জণ সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তার দৃষ্টি আরও দূরে, ‘এখানেই শেষ নয়, মনে রাখতে হবে আরেকটি ম্যাচ (ফাইনাল) বাকি আছে আমাদের।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।