পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপগঞ্জে হাশেম ফুড লিমিটেডের সেজান জুস কারখানার বেশিরভাগ শ্রমিক ছিল শিশু। এসব শিশু শ্রমিকদের অল্প বেতনে খাটাতো প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি কয়েক মাসের বেতনও বকেয়া ছিল তাদের।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই শিশু বলে জানিয়েছেন বেঁচে ফেরা শ্রমিকরা। কারখানাটির শ্রমিক রাজিব বলেন, এখানকার বেশিরভাগ শ্রমিক শিশু। তাদের মধ্যে যারা মেয়ে তাদের বয়স ১২ বছর থেকে শুরু আর ছেলেদের বয়স ১৪ থেকে শুরু। দরিদ্র পরিবারের শিশুরা এখানে তিন হাজার থেকে শুরু করে ছয় হাজার টাকা বেতনে কাজ করে। যে ভবনে আগুন লেগেছে সেই ভবনের পাশে একই কোম্পানির আরেকটি ভবনের দায়িত্বশীল একজন বলেন, মূলত কম বেতনের কারণেই মালিক শিশুদের নিয়োগ দিতেন।
গতকাল শুক্রবার কারখানার প্রধান ফটকে অপেক্ষমাণ শ্রমকরা জানান, দুজন ঠিকাদারের মাধ্যমে শিশুদের ভোলা ও কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হতো। এই শিশু শ্রমিকদের বেতন ধরা হতো খুবই কম। সাড়ে ছয় হাজার টাকা বেতনে তাদের চাকরি শুরু হতো। ছয় মাস পরে যাদের স্থায়ী (পার্মানেন্ট) করা হতো তাদের দেওয়া হতো ১০ হাজার ৫০০ টাকা। শুরুর দিকে হাতের কাজ করলেও চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর বিভিন্ন পণ্য তৈরির মেশিনের সহকারী হিসেবে কাজ করতো এই শিশুরা।
ভোলা ও কিশোরগঞ্জ থেকে যেসব শিশু নিয়ে আসা হতো তাদের একটি বড় অংশকে কারখানার পাশে কোয়ার্টারে রাখা হতো। সেখানে থাকা ও খাওয়া বাবদ এক হাজার টাকা প্রতি মাসে প্রত্যেক শিশুর কাছ থেকে নেওয়া হতো। দুজন ঠিকাদারের মধ্যে ভোলা থেকে যে শিশুদের আনা হতো তাদের তত্ত্বাবধান করতেন মোতালিব। আর কিশোরগঞ্জ থেকে শিশুদের আনা ও তত্ত্বাবধান করতেন রাজ্জাক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর প্রাণভয়ে এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে ছুটছিল শিশু শ্রমিকরা।
কারখানাটির ইলেকট্রিক বিভাগের একজন বলেন, আমি নিচে ছিলাম। আগুন লাগার পর কোথায় লাগছে তা দেখতে উপরে যাই। তখন অনেকগুলো ছেলে ও মেয়ে শিশুকে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে দেখি। আমি দোতলা পর্যন্ত উঠে আবার নিচ দিয়ে নেমে আসি। তখনও দেখেছি বাচ্চাগুলো ছুটছে। তারা শুধু ওপরে উঠছিল। শেষে চারতলায় গিয়ে আটকা পড়ছে, আর উপরে উঠতে পারে নাই। অধিকাংশ লাশ ভবনের একই জায়গায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মোস্তাফিজ নামে একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বলেন, আগুনের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্করাই কী করবেন বুঝতে পারেন না, শিশুরা আরও বেশি আতঙ্কিত ছিলো যে কারণে তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, যদি কারখানাটি শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়, তবে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।