নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বড় মঞ্চে আর্জেন্টিনার সাফল্য খরা চলছে দীর্ঘদিন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর আর ফুটবলের বৈশ্বিক মঞ্চে শিরোপা জেতেনি আর্জেন্টিনা। বিশ্বমঞ্চে শিরোপা খরা চলছে প্রায় তিন যুগ। সবশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা তারা জিতেছে ১৯৯৩ সালে; এটাও ২৮ বছর আগের গল্প। মাঝের সময়ে বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকায় শিরোপা জয়ের সুযোগ দুয়ারে কড়া নেড়েছে একাধিকবার। কিন্তু আর্জেন্টিনা সাড়া দিতে পারেনি ওই গোল না পাওয়ার কারণে। ফুটবলে সাফল্যের হাসি হাসতে যে গোলই শেষ কথা।
ফাইনালে চলা গোল খরার বয়সও নেহাত কম নয়। বিস্ময়করভাবে ২০০৫ সালের কনফেডারেশন্স কাপের ফাইনালের পর আর কোনো শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে গোলই পায়নি তারা! জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে সেবার ব্রাজিলের কাছে ৪-১ ব্যবধানে উড়ে যাওয়া ম্যাচে ব্যবধান কমানো একমাত্র গোলটি করেছিলেন পাবলো আইমার। দুই বছর পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে ফের ব্রাজিলের মুখোমুখি আর্জেন্টিনা। হার ৩-০ গোলের। রিকেলমে-মেসি-তেভেজ কেউই পারেননি দলকে গোল এনে দিতে। বর্তমানে আর্জেন্টিনা দলের নেতৃত্ব দেওয়া লিওনেল মেসির সেটাই ছিল কোপা আমেরিকার ফাইনালে প্রথম হার।
ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালেও কাটেনি সেই গোল খরা। মারিও গোটসের একমাত্র গোলে হেরে স্বপ্ন ভাঙার আগুনে পুড়ে আর্জেন্টিনা। যথারীতি মেসি-হিগুয়াইন-আগুয়েরোরা গোলহীন। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালেও মেসিদের জন্য গোল ছিল সোনার হরিণ হয়েই। দুবারই নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশ‚ন্যভাবে শেষের পর টাইব্রেকারে চিলির কাছে হার আর্জেন্টিনার।
রিও ডি জেনিরোর মারাকানাতেই বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর ৬টায় আরেকটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা কিংবা মেসির এই গোল খরা, সাফল্য খরা কাটবে কিনা এবার? এই আক্ষেপের কারণটাও অজানা নয়। তর্ক সাপেক্ষে সময়ের সেরা তারকা মেসি। অভিমানে নেওয়া অবসর থেকে ফিরলেও যে কোনো সময় ছাড়তে পারেন জাতীয় দলের মায়া। বয়সটা যে আর কম হলো না। তারপরও এই মেসি আরও গতিময়। আরও শক্তিশালী, ধারালো এবং সাফল্যের জন্য মরিয়া। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চেও খুব সম্ভবত এটাই মেসির শেষ। ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডও তা রাঙিয়ে রাখতে মরিয়া। এরই মধ্যে ৪ গোল করেছেন। সতীর্থদের ৫ গোলে রেখেছেন অবদান। আর্জেন্টিনাকে তুলে এনেছেন ফাইনালে। আকাশী-সাদা অধিনায়কের পারফরম্যান্সে ভীষণ মুগ্ধ ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তি তোস্তাও-ও। এতটাই যে, মেসিকে দেখে পেলেকে মনে পড়ছে তার!
ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার সিনিয়র দলে অভিষেক ২০০৪ সালে। পরের বছর তার গায়ে ওঠে জাতীয় দলের জার্সি। কাতালুনিয়ার দলটির হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ারে মুঠোভরে সাফল্য পেয়েছেন মেসি। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে এখনও তার প্রাপ্তির খাতায় আঁচড় পড়েনি। এ নিয়ে খোদ আর্জেন্টাইনদের সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয় মেসিকে। মেসি-ম্যারাডোনার তুলনায় অনেকে টেনে আনেন জাতীয় দলের হয়ে সাফল্য-ব্যর্থতার ফিরিস্তি। আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ এনে দেওয়া ম্যারাডোনাকে পরিয়ে দেন সেরার মুকুট। কিন্তু তোস্তাও দেখছেন ক্লান্তিহীনভাবে একই ছন্দে, ধারাবাহিকতায় মেসির ছুটে চলা, ‘মেসি দুর্দান্ত একজন গোলদাতা, পাস দিতেও দারুণ পারদর্শী এবং সে আরও বেশি ধারাবাহিক। কেননা, ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবল খেলছে। সবসময়ই মেসি দারুণ অবস্থায় থাকে। ম্যারাডোনার চেয়ে তার ক্যারিয়ার দীর্ঘ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।