নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একসময়ের বার্সেলোনা সতীর্থ। আক্রমণভাগে ত্রাস ছড়িয়েছেন বার্সার হয়ে। একসঙ্গে খেলার সৌজন্যে দুজনে ভালো বন্ধুও হয়েছেন। ২০১৭ সালে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় তাঁদের একজন হৃদয়ের আর্তিও প্রকাশ করেছেন। ক্লাব পাল্টালেও মেসি-নেইমারের বন্ধুত্বে চিড় ধরেনি। কিন্তু দেশের হয়ে মুখোমুখি হলে বন্ধুত্বকে তো এক পাশে সরিয়ে রাখতে হয়। কোপা আমেরিকা ফাইনালের আগে নেইমার সেটাই করার ইঙ্গিত দিলেন মজা করে।
বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর ছয়টায় কোপা আমেরিকা ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বন্ধু এবং ক্লাব ফুটবলে একসময়ের সতীর্থ মেসির মুখোমুখি হবেন নেইমার। ব্রাজিল ফরোয়ার্ড জানালেন আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ডের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক ফাইনালে হুমকির মুখে পড়তে পারে। দুই তারকাই তাঁদের ক্যারিয়ারে কখনো কোপা আমেরিকা জিততে পারেননি। ফাইনালের আগে সংবাদকর্মীদের নেইমার বলেন, ‘মেসি, সব সময়ই বলে এসেছি আমার দেখা সেরা খেলোয়াড় ও অসাধারণ বন্ধু। কিন্তু এখন আমরা ফাইনালে, আমরা প্রতিদ্ব›দ্বী। আমি এ শিরোপাটা সত্যিই জিততে চাই, যেটা হবে আমার প্রথম কোপা আমেরিকা।’
১৯৯৩ সালের পর আর্জেন্টিনা আর বড় কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি। ২৮ বছরের শিরোপাখরা ঘোচাতে নেইমারের মুখোমুখি হবেন মেসি। অর্থাৎ ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার সময় মেসির মনেও নেইমারের সঙ্গে বন্ধুত্বটা তেমন মনে থাকার কথা নয়। নেইমার জানালেন, ব্রাজিল কোনো টুর্নামেন্টে না থাকলে (যেখানে আর্জেন্টিনা আছে), তিনি বরাবরই মেসিকে সমর্থন দিয়েছেন, ‘২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে এ কাজটাই করেছি, যখন জার্মানির মুখোমুখি হলো।’ আর্জেন্টিনা সে ফাইনালে ১-০ গোলে হেরেছিল জার্মানির কাছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা। নেইমারকে তাই বন্ধুত্ব ভুলে দেশের কথাটাই আগে ভাবতে হচ্ছে, ‘এখন যেহেতু বিপক্ষ, তাই বন্ধুত্বটা হুমকির মুখে। আমাদের মধ্যে সম্মানের সম্পর্কটা থাকবে কিন্তু জিততে পারবে তো শুধু একজনই।’
সম্পর্কটা যেহেতু পারস্পরিক সম্মানবোধেরই থাকছে, তাহলে কোপার ফাইনালে নেইমার বন্ধুত্বকে একপাশে সরিয়ে রাখবেন কীভাবে? ভিডিও গেমসে খেলার উদাহরণ দিয়ে নেইমার তার ব্যাখ্যা দিলেন, ‘যখন কারও বন্ধু হবেন, তখন সেটা ভুলে থাকা কঠিন। কিন্তু বন্ধুর সঙ্গে যখন ভিডিও গেমস খেলেন, তখন তো তাকে যেকোনো ম‚ল্যে হারাতে চান। ফাইনালে ঠিক এটাই হবে।’ নেইমারের এসব কথা নিশ্চয়ই মেসির কান পর্যন্ত পৌঁছেছে। আর্জেন্টাইন তারকাও নিশ্চিত বন্ধুত্ব এক পাশে সরিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজের মতো করে। আর তাতে রোমাঞ্চে উত্তাপ যে আরো কয়েকগুণ বাড়বে তা কি আর বলে দিতে হয়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।