বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সর্বাত্মক লকডাউনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানেও চট্টগ্রামে ঠেকানো যাচ্ছে না জনসমাগম। রাস্তায়,পাড়া-মহল্লা আর হাটবাজারে ভিড় জটলা লেগেই আছে। ভিড় জটলায় অনেকের মুখে নেই মাস্ক। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই।
শুক্রবার ছুটির দিনে সড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম হলেও অলিগলিতে মানুষের ভিড় জটলা লেগেই আছে। সকালে হাটবাজারে ছিলো উপচেপড়া ভিড়। সেখানে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই। উম্মুক্ত স্থানে কাঁচাবাজার সরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ বাজার আগের মতো চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে উদাসীন। হাটবাজারে নেই প্রশাসনের কোন তদারকি। নগরীর চাকবাজার, রেয়াজুদ্দিন বাজার, কাজির দেউড়ি, কর্ণফুলী কাঁচাবাজার, বহদ্দারহাট, স্টিল মিলবাজারসহ বড় বড় হাটবাজার এলাকায় যানজট এবং জনজটের সৃষ্টি হয়।
দুপুরের পর নগরীর খোলা জায়গায় মানুষের ভিড় জমে। পতেঙ্গা সৈকত, সিটি আউটার রিং রোড,বায়েজিদ সংযোগ সড়ক, মেরিনার্স রোড, কর্ণফুলী সেতু এলাকায় ভিড় জটলা দেখা যায়। শুরুতে বেশ কয়েকদিন সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেলেও এখন সড়কে অবাধে চলছে ব্যক্তিগত যানবাহন। কোন কোন এলাকায় অটোরিকশা, টেম্পু, মিনিবাসও চলছে। উত্তর চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে। অথচ সেখানে দোকানপাট খোলা রাখা হচ্ছে। শুধু হাটহাজারীতেই দোকান খোলা রাখায় শতাধিক দোকানির কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নানা অজুহাতে মানুষ রাস্তায় নামছে। আবার অনেকে কাজের খোঁজে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছেন। মহানগরীতে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলেও গ্রামে লকডাউনের তেমন কোন প্রভাব নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।