নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকার রোমাঞ্চ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ ব্যবধানে ড্র ছিল। পরে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা ৩-২ গোলে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ব্রাজিলের সঙ্গি হয়। আগামী রোববার রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
শ্বাসরুদ্ধকর দ্বিতীয় সেমিফাইনালের শুরু থেকেই কলম্বিয়াকে চাপে রাখে আর্জেন্টিনা।একের পর এক আক্রমণে লিওনেল মেসিরা ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন কলম্বিয়ার রক্ষণভাগকে। ফলে গোলও পায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কলম্বিয়া গোল শোধ করলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। যেখানে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বীরত্বে রোমাঞ্চ জিতে নেয় আর্জেন্টাইনরা। ম্যাচের ৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে কিছুটা পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা লাউতারো মার্টিনেজকে বাড়িয়ে দেন মেসি। সেখান থেকে দারুণ শটে গোল করতে ভুল করেননি ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড (১-০)। গোল হজম করার পর ঘুরে দাঁড়ায় কলম্বিয়া। বেশ কয়েকবার তারা সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করে। ৩৬ মিনিটে কর্ণার থেকে পাওয়া বলে প্রায় গোল পেয়েই গিয়েছিল কলম্বিয়া। কিন্তু কুয়ারদোর কর্ণারে পাওয়া বলে মিনার নেওয়া হেড লাগে ক্রসবারে। বিরতির আগে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল আর্জেন্টিনার সামনেও। কিন্তু ম্যাচের ৪৪ মিনিটে মেসির নেওয়া কর্ণারে গঞ্জালেসের হেড ফিরিয়ে দেন কলম্বিয়া গোলরক্ষক ডেভিড অস্পিনা। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টাইনরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দু’দলই চেষ্টা করে গোল পেতে। আর্জেন্টিনা বেশ ক’টি সুযোগ নষ্ট করলেও সফল হয় কলম্বিয়া। তারা সমতায় ফিরে ম্যাচের ৬১ মিনিটে। এসময় ফ্রি কিক পায় কলম্বিয়া। নিজেদের অর্ধে পাওয়া ওই ফ্রি কিক দ্রুত শট করেন কারডোনা। বক্সের ভেতরে বল পেয়ে দৌড় শুরু করেন দিয়াজ। দারুণভাবে আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ফাঁকি দিয়ে গোলও করেন তিনি (১-১)।
কিছুক্ষণ পর ডি মারিয়াকে মাঠে নামান আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। খেলার গতিপথও যায় বদলে। একের পর এক আক্রমণ চালায় আলবিসেলেস্তেরা। কিন্তু তাতে মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। এমনকি গোলরক্ষক অস্পিনাকে ফাঁকি দিয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি তারা। পাল্টা আক্রমণে কলম্বিয়াও আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে একাধিক গোলের দেখা পায়নি কেউ। ফলে ম্যাচ গড়ায় সরিসরি টাইব্রেকারে। রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে ব্যবধান গড়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কলম্বিয়ার তিনটি শট ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে পৌঁছান তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে উরুগুয়েকে হারিয়ে আসা কলম্বিয়া এবার আর পারেনি। টাইব্রেকারে হুয়ান কুয়াদরাদোর প্রথম শটে গোল হলেও দাভিনসন সানচেস ও ইয়েরি মিনার পরের দু’টি শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন মার্টিনেজ। মিগুয়েল বোরহার বুলেট গতির শট খুঁজে নেয় জাল। এদউইন কারদোনার শট আবার বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান মার্টিনেজ। সঙ্গে সঙ্গে এক আসর পর ফাইনালে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মাতে আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে দলের হয়ে প্রথম শটে গোল করেন লিওনেল মেসি। রদ্রিগো দে পল মারেন আকাশে। পরের দু’টি শট ঠিকানাতেই পাঠান লেয়ান্দ্রো পারেদেস ও লাউতারো মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার পঞ্চম শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।