নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শেষের পথে ২০২০ ইউরো। শিরোপা কার হাতে উঠছে, সেটি জানতে আর তিন ম্যাচের অপেক্ষা। কিন্তু ১১ জুন থেকে ইউরোর এ আসরে পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে, জার্মানির টনি ক্রস, বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকুর মতো তারকারা ঝরে গেছেন। তাই বলে কি ইউরোতে কোন তারকাই অবশিষ্ট নেই? না, একথা বলার কোন সুযোগই নেই। ইউরোর আকাশে এখনও রয়েছে অজস্র তারা। কিন্তু এরমধ্যে চাঁদ হিসেবে ধরা দিয়েছেন চারজন। ইংল্যান্ডের রাহিম স্টার্লিং, ডেনমার্কের মিকেল ডামসগার্ড, ইতালির জর্জিনহো ও স্পেনের জেরার্ড মোরেনো। আসুন, দেখে নেই এবারের আসরে তাদের চোখ ধাঁধাঁনো পারফরমেন্স। ইনকিলাব পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো সেই আকাশের চাঁদের গল্প
রাহিম স্টার্লিং (ইংল্যান্ড)
দারুণ ছন্দে আছেন রাহিম স্টার্লিং। কোয়ার্টার ফাইনালের আগ পর্যন্ত ইংলিশদের গোলের ৭৫ শতাংশই এসেছে তার কাছ থেকে। এখন পর্যন্ত করেছেন তিন গোল। জাতীয় দলে অধিনায়ক হ্যারি কেইনের সঙ্গে তার জুটিটা এবারের ইউরোতে প্রতিপক্ষের কাছে বড় আতঙ্কের! ইউক্রেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে গোল পাননি ঠিকই, কিন্তু ম্যাচে কেনের দুই গোলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ জোগানদাতা তিনি। দারুণ সব ড্রিবলিংয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে বের করে আনছেন ডি-বক্সের বাইরে, যা গোলের সুযোগ করে দিচ্ছে বাকিদের।
মিকেল ডামসগার্ড (ডেনমার্ক)
গ্রুপপর্বে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠেই ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ডেনমার্ক সেমিফাইনাল খেলবে, এমন বাজি ধরার লোক কমই ছিল। সে ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম কারিগর দলের সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় ডামসগার্ড। চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালেও দুর্দান্ত তিনি। ডি-বক্সে নিজের দক্ষতার প্রমাণ করেছেন ডামসগার্ড, তার একেকটি নিখুঁত পাসে কেঁপেছে চেকরা। ইংলিশদের ইউরোর যাত্রা থামিয়ে দিতে হলে সেমিতে আবারও জ্বলতে হবে ২১ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে।
জর্জিনহো (ইতালি)
জাতীয় দলের ক্যাম্পে সতীর্থরা তাকে ডাকেন ‘রেডিও’ জর্জিনহো নামে! ম্যাচে তার মুখ বিরতিহীন চলতে থাকে বলেই সতীর্থরা ভালোবাসে এই নাম দিয়েছেন ২৯ বছর চেলসি মিডফিল্ডারকে। মাঝমাঠে খেলেন বলে আক্রমণ-রক্ষণ, দুই দিকটাই সমানতালে সামলাতে হয় তাকে। মাঠে সতীর্থদের দিতে থাকেন নির্দেশনা। এবারের ইউরোতে চিরো ইম্মোবিলে, ফ্রেডরিক কিয়েসা, লরেঞ্জো ইনসিনিয়েরা দারুণ খেলছেন। নেপথ্যের নায়ক হিসেবে ইতালি দলের অনেকের নামই আসবে, তবে তাদের ‘মস্তিষ্ক’ এককথায় একজন-জর্জিনহো। তিনি যেন অর্কেস্ট্রা দলের সুর কারিগর, অনবদ্য ধ্রুপদি সংগীত।
জেরার্ড মোরেনো (স্পেন)
গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে সুইডেনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর আলভারো মোরাতার ওপর খেপেছিলেন স্প্যানিশ সমর্থকেরা। ভিয়ারিয়ালের হয়ে সদ্য শেষ হওয়া লিগ মৌসুমে ৩০ গোল করা জেরার্ড মোরেনোকে খেলানোর দাবি তোলেন সমর্থকেরা। মোরেনোকেই নিয়মিত খেলাচ্ছেন স্পেন কোচ। স্ট্রাইকার আবার ফলস নাইন হিসেবেও কোচের পছন্দ তিনি। ইউরোতে অবশ্য এখন পর্যন্ত গোল পাননি। তবে একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে তার শরীরী ভাষা, আত্মবিশ্বাস বাকিদেরও উজ্জীবিত করছে। গোলখরাটা নিশ্চয় ইতালির বিপক্ষেই দূর করতে চাইবেন মোরেনো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।