Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দোনেশিয়ায় যুদ্ধকালীন ভয়াবহতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে মেডিকেল প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিতে অক্সিজেন প্রস্তুতকারদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। হাসপাতালগুলো থেকে বলা হচ্ছে, তারা সক্ষমতা নিয়ে লড়াই করছে। একটি হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট করা হয়েছে, অক্সিজেন ফুরিয়ে আসায় ৬৩ জন রোগী মারা গেছেন। বর্তমানে সেখানে প্রতিদিন নতুন করে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ভ্রমণ এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার কারণে এই সঙ্কট আরো তীব্র হয়েছে। একে ‘যুদ্ধকালীন’ ভয়াবহতার সঙ্গে তুলনা করেছেন কেউ কেউ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহভাবে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে এ দেশটিতে। এর মধ্যে প্রায় ২৩ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানী জাকার্তার বাইরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। ফলে মোট আক্রান্ত বা মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। গত সপ্তাহে দেশটির প্রধান পর্যটন কেন্দ্র বালি দ্বীপ এবং প্রধান দ্বীপ জাভা’তে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সপ্তাহান্তে বান্দুং, সুরাকার্তা এবং পামেকাসান শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ এবং আইসিইউ থেকে বলা হয়েছে, করোনা নিয়ে ভর্তি হতে মানুষের ঢল নেমেছে। কিন্তু স্থান সংকুলান না হওয়ায় তাদেরকে ফিরিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আবার অনেকে হাসপাতালের বাইরে তাঁবু টানিয়ে তার ভিতর অবস্থান করছেন। বয়স্ক মাকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন এমন একজন নারী বলেছেন, যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি। একটি হাসপাতাল থেকে প্রথমে তার মাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই হাসপাতালে কোনো বেড খালি ছিল না। এখন অন্য একটি হাসপাতালের বাইরে অস্থায়ী তাঁবুতে তারা অবস্থানের অনুমোদন পেয়েছেন। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্দোনেশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ