বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় চেয়ারম্যানের পরিবারের অন্তত ৬ জন সদস্য আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল বোমা, ৩টি চকলেট বাজি ও ১ রাউন্ড ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করে। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চরএলাহী গ্রামের রাজ্জাক চেয়ারম্যানের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিবি রহিমা খাতুন, ছেলে মো.রাজীব, চেয়ারম্যানের বোন পারুল আক্তার, জয়গুণ বিবি, ভাতিজা ইমরান হোসেন, রাজীব। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার বিষয়টি জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আ.লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে কাদের মির্জার অনুসারী চরএলাহী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি, হেলাল হোসেন মেম্বারের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমার বসত ঘরের সামনের অংশ কুপিয়ে তছনছ করে দেয়। এক পর্যায়ে তারা বসত ঘর লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় আমার পরিবারের ৬ সদস্য আহত হয়।
চরএলাহী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি বলেন, এটি সাজানো নাটক। যখন হামলার ঘটনা ঘটে তখন আমরা বসুরহাট বাজারে ছিলাম। আবদুল গণি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী এবং চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক পুষ্প বরণ চাকমা ঘটনাস্থল থেকে জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৪টি ককটেল বোমা, ৩টি চকলেট বাজি ও বসতঘর থেকে ব্যবহৃত এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান, এ সময় হামলাকারীদের আতঙ্কে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে চেয়ারম্যানের পরিবারের ৬ সদস্য আহত হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের ছেলে ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে বাহিরে পালিয়ে যায়। তবে আহতদের আঘাত বেশি গুরুত্বর নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। ওসি মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।