ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চায় বাংলাদেশ সময় রোববার ভোরে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে কলম্বিয়া। টাইব্রেকারে কলম্বিয়ার চার শটের সবকটিই পেয়েছে জালের দেখা। কিন্তু উরুগুয়ের চার শটের মাত্র দুটিতে হয়েছে গোল; তাদের হোসে হিমেনেস ও মাতিয়াস ভিনার শট ঠেকিয়ে জয়ের নায়ক ওসপিনা।
আজকের ম্যাচটি দিয়ে কার্লোস ভালদেরামাকে টপকে কলম্বিয়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও (১১২ ম্যাচ) গড়লেন ওসপিনা। রেকর্ড গড়ার ম্যাচে দলকে সেমিফাইনালে তুলে উপলক্ষ্যটি স্মরণীয় করে রাখলেন দেশটির গোলবারের এই অভিজ্ঞ সেনানী।
ম্যাচে জমজমাট ফুটবল খেলতে পারেনি উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া। মাঠে দুই দল প্রচুর পাস খেললেও গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। উল্টো মোট ২৮টি ফাউলে খেলার গতি থামিয়েছে দুই দল।
তবে দুই দল যে গোলপোস্ট তাক করে শট নেওয়ার চেষ্টা করেনি তা নয়। উরুগুয়ে ৭টি শট নিয়ে গোলপোস্টে রাখতে পেরেছে ৩টি। কলম্বিয়াকে ৩টি শট গোলপোস্টে রাখতে নিতে হয়েছে ৯টি শট।
ম্যাচে উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পায় কলম্বিয়া। তবে দ্বাদশ মিনিটে উইরিয়াম তেসিয়োর হেড ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে যায়। ৩৩তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে থেকে উরুগুয়ের মিডফিল্ডার আরাসকায়েতার নেওয়া শটও হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
প্রথমার্ধে মোটেও ভালো খেলতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। বক্সের মধ্যে সহজাত দক্ষতায় গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেননি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। এদিন যেন খানিকটা ‘আনফিট’ লেগেছে তাকে। ৬০তম মিনিটে ভালো পজিশনে বল পেয়েও প্রতিপক্ষের পায়ে মেরে হতাশ করেন সাবেক বার্সা তারকা।
উরুগুয়ের আরেক তারকা স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানিও আলো ছড়াতে পারেনি। বিরতির পর গোলের ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। ৭৩তম মিনিটে কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার দুভান জাপাতার জোরালো হেড কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকান ফের্নান্দো মুসলেরা।
বিরতির পর খানিকটা দাপট ছড়ানো কলম্বিয়া ৫১ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে। ৪৯ শতাংশ সময় বল দখলে রাখে উরুগুয়ে। তবে বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউ। পরে টাইব্রেকারে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে উল্লাসে ভাসে কলম্বিয়া।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ৬ জুলাই সেমিফাইনালে ২০০১ আসরের চ্যাম্পিয়ন কলম্বিয়া খেলবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। রোববার সকাল ৭টায় আরেক ম্যাচে ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে শেষ চারে উঠেছে লিওনেল মেসির দল। একটি করে গোলর করেন মেসি, রদ্রিগো ডি পল, লউতারো মার্তিনেজ।