নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে খেল বড় একটা ধাক্কা। টানা দুই ম্যাচ হেরে একদম খাদের কিনারায়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের পর্বে গেল ডেনমার্ক, ওয়েলসকে উড়িয়ে এলো কোয়ার্টারে। চেক প্রজাতন্ত্র তাদের ভালোই ভুগিয়েছে, কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ২-১ গোলের জয়ে ১৯৯২ কে আবার মনে করিয়ে দিচ্ছে ডেনমার্ক। এবার উঠে গেছে সেমিতে। সেখানে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড বা ইউক্রেন।
ডেনমার্কের সেমিতে ওঠা শুধু এরিকসেনকে হারানোর জন্য নয়, আরেকটা দিক দিয়েও অভিনব। ইউরোর ইতিহাসে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সেমিতে যেতে পারেনি কেউ। আজ অবশ্য শুরু থেকেই ডেনমার্ক জানান দিচ্ছিল, এই ম্যাচটা তাদের। থমাস ডেলানি তাদের এগিয়ে নিতে সময় নিয়েছেন মাত্র ৫ মিনিট। কর্নার থেকে ফ্রি হেডার পেয়ে গিয়েছিলেন, দারুণ হেডেই সেটা জালে জড়িয়ে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরেই চেকরাও কর্নার থেকে একই রকম সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। সেটা রুখে দিয়ে উলটো কাউন্টার অ্যাটাকে আরেক গোল করে ফেলছিলেন ডামসগার্ড। ২১তম জন্মদিনে গোল করার সময় লাইন থেকে বলটা ক্লিয়ার করে দেন ভ্লাদিমির সুফাল।
এরপর দেলানি আরেকটা গোল পেতে পারতেন, কিন্তু শট নিতে পারেননি ঠিকমতো। সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল চেকরাও, কিন্তু মাসুপস্টের ক্রস থেকে হোলেস গোল করতে পারেননি একটুর জন্য। উলটো ৪২ মিনিটে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক আবার। জোয়াকিম মাহলে পুরো টুর্নামেন্টে খেলেছেন অসাধারণ। আজ আরেকবার দেখিয়েছেন কেন আটালান্টার এই লেফটব্যাককে নিয়ে কাড়াকাড়ি পরে যেতে পারে। ওভারল্যাপ করে উঠে এসেছিলেন আরও একবার, বাঁদিক থেকে ডান বুতের আউটসাইড দিয়ে ফিফার পেস কন্ট্রোলকে মনে করিয়ে দেওয়া এক ক্রসে খুঁজে নিয়েছেন ডলবার্গকে। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন ডলবার্গ, আজও হাতছাড়া করেননি সুযোগ। ডেনমার্ক প্রথমার্ধেই অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে ম্যাচ।
কিন্তু চেকরা এতো সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ার নয়, সেটা দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই জানিয়ে দেয়। শুরুতেই তারা ব্যবধান কমাতে পারত, কিন্তু ক্রেমেনিকের শট একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে। কিন্তু এরপরেই সমতা ফেরায় তারা। এবার সুফালের ক্রস থেকে দারুণ এক ফিনিশে গোল করেন এই টুর্নামেন্টে তাদের হিরো প্যাট্রিক শিক। পাঁচ গোল হলো তার, ছুঁয়ে ফেললেন রোনালদোকে। দুজনের গোল এখন ইউরোতে সর্বোচ্চ। এরপর মনে হচ্ছিল চেকরা এক গোল দিইয়েই ফেলবে। কিন্তু ডেনমার্কের প্লসেন ও নরগার্ড নামার পরেই খেলার মোড় বদলে যায় আবার। পলসেন একাই দুবার সুযোগ পেয়েছিলেন, পারেননি। একবার মাহলেও সুযোগ পেয়ে নষ্ট করেছেন। ওদিকে মাথায় আঘাত পেয়ে আজকের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সুচেক ব্যান্দেজ দিয়েই খেলে গেছেন।একদম শেষ মুহূর্তেও শটটা চেকদের কেউ একজন বক্সে পা লাগালেই হয়তো অন্য কিছু হতে পারত। সেটা আর হয়নি। চেকরা ম্যাচ শেষে হতাশায় লুটিয়ে পড়েছেন মাটিতে। আর বাকুতে ডেনমার্ক শুরু করে দিয়েছে উদযাপন। তাদের যে ওয়েম্বলি ডাকছে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।