নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোপা আমেরিকায় শেষ আটের দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে কষ্টের জয়ে সেমিফাইনালে উঠলো ব্রাজিল। রিও ডি জেনিরাতে শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ব্রাজিল ১-০ গোলে হারায় চিলিকে। বিজয়ীদের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন বদলি মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েটা।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যাওয়ার পরপরই ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। একজন বেশি থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের চেপে ধরে চিলি। কিন্তু প্রতিপক্ষের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যবধান ধরে রাখে ব্রাজিল। রক্ষণভাগের দৃঢ়তায় চিলিকে হারিয়েই শেষ চারে জায়গা করে নেয় তিতের দল।
কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হওয়ায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন নেইমার-কাসেমিরোরা। চিলির বিপক্ষে আট পরিবর্তন এনে তাদের ফেরান ব্রাজিল কোচ তিতে। অন্য দিকে চিলি দলে তিনটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামে। দলে ফিরেন এরিক পুলগার ও সেবাস্তিয়ান ভেগাস। চোট কাটিয়ে তাদের সঙ্গী হন আলেক্সিস সানচেজ।
গত তিন আসরের শিরোপা ভাগাভাগি করে নেয়া দুই দলের লড়াইয়ের শুরুটা ছিল সাবধানী। বল ঘোরাফেরা করে মাঝমাঠে। ১০ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোলের চেষ্টা করেন চিলির ভেগাস। সরাসরি আসা বল অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে নেন দলে ফেরা ব্রাজিল গোলরক্ষক এদেরসন। ১৫ মিনিটে একইভাবে চেষ্টা করেন রিশার্লিসন। স্বাগতিক ফরোয়ার্ডের শট অনায়াসে ঠেকান চিলি গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো। ২২ মিনিটে ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ পান রবের্তো ফিরমিনো। কিন্তু নেইমারের চমৎকার ক্রসে ফিরমিনোর লক্ষ্যভ্রষ্ট শট বাইরে চলে যায়। পাঁচ মিনিট পর পাল্টা আক্রমণ থেকে এদেরসনের পরীক্ষা নেন এদুয়ার্দো ভারগাস। ডানদিক থেকে এই ফরোয়ার্ডের শট ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন এদেরসন।
ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে চিলিকে চেপে ধরে ব্রাজিল। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গাব্রিয়েল জেসুসের বাড়ানো বলে নেইমারের ফ্লিক ফ্রান্সিসকো সিয়েরালতার পায়ে লেগে ব্যর্থ হয়। ছয় মিনিট পর জেসুসের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন চিলি গোলরক্ষক। গোলশূন্য অবস্থায় দু’দল বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লুকাস পাকুয়েটার গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে চিলির খেলোয়াড়দের দুর্বল চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে সহজেই জাল খুঁজে নেন তিনি। ফিরমিনোর বদলি হিসেবে বিরতির পর মাঠে নেমেছিলেন তিনি। এগিয়ে যাওয়ার দুই মিনিট পর ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে অনেক উপরে পা তুলে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু তার বুট গিয়ে লাগে ইউজেনিও মেনার মুখে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড। বিপজ্জনক ফাউলের জন্য তাকে লাল কার্ড দেখান আর্জেন্টাইন রেফারি পাত্রিসিও লোসতাও। কোপা আমেরিকার গত আসরের ফাইনালেও লাল কার্ড দেখেছিলেন জেসুস। ৬২ মিনিটে বল জালে পাঠায় চিলি। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল বাতিল করেন রেফারি। চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ আসে নেইমারের সামনে। পাল্টা আক্রমণে বল পায়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন পিএসজি ফরোয়ার্ড। কিন্তু তার শট সহজেই ফেরান ব্রাভো। ৬৯ মিনিটে একটুর জন্য সমতা ফেরাতে পারেনি চিলি। মেনার দারুণ ক্রসে ব্রেন বেরেটনের হেডে লাফিয়েও হাত ছোঁয়াতে পারেননি এদেরসন। ক্রসবারে লেগে বল মাঠে ফিরে আসে। অল্পের জন্য বেঁচে যায় ব্রাজিল। ৭৮ মিনিটে ডি বক্সের মাথা থেকে ভারগাসের বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। ম্যাচের বাকি সময়ে নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিলিয়ানরা। একই দিন অনুষ্ঠিত প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের জয়ী দল পেরুর বিপক্ষে শেষ চারের ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।