Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার আশঙ্কা : বিপদসীমার ওপরে ৯ নদীর পানি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২১, ৯:৪২ এএম | আপডেট : ৯:৫৮ এএম, ২ জুলাই, ২০২১

কয়েকদিনের অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা, মুহুরী, খোয়াই, কংস, ভোগাই, যাদুকাটা, চেল্লাখালী, সোমেশ্বরী ও মহারশি নদীর পানি।

এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে গেছে। এতে দুর্ভোগের পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

কুড়িগ্রাম, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। হালুয়াঘাটে হঠাৎ বন্যা হয়েছে মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলে। ঘরবাড়ি, স্কুল, বাজারে পানি ঢুকে মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ করে তুলেছে। নালিতাবাড়ী, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করেছে নদনদীর পানি। উজানের ঢলে সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদী ছাপিয়ে দুই পাড়ের গ্রামগঞ্জ প্লাবিত করে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। কুড়িগ্রামে উজানের ঢলে ৫০ চরগ্রাম প্লাবিত। পানি বৃদ্ধির ফলে ধরলা ও তিস্তার ৫০টি চরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার পাট, ভুট্টা, আউশ ধান, বীজতলা ও সবজিখেত নিমজ্জিত হয়েছে।

ধরলার ভাঙনে সারডোবে বিকল্প বাঁধের অবশিষ্টাংশ ভেঙে পানি ঢুকছে। ফলে ভাটিতে থাকা ১৫টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ। উজান থেকে নেমে আসা ভোগাই-চেল্লাখালি নদীর পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ীসহ ছয়টি ইউনিয়নের ৫০টির অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঢলের পানিতে ঝিনাইগাতী সদর বাজারসহ সদর ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার বাড়িঘরে পানি উঠেছে। ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে জানিয়েছে, টানা ভারী বৃষ্টি এবং সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।

পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মা, সুরমার পানি বাড়ছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বেড়ে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং কাছাকাছি ভারতের হিমালয় পাদদেশের পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ