২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
সিনড্রোমটির আরো কিছু নাম আছে। নামগুলো বড়ই জটিল। ১৯৯৬ সালে প্রথম এই সিনড্রোমের বর্ণনা পাওয়া যায়। প্রেস অবশ্য কোন বিজ্ঞানীর নাম নয়। প্রেস মানে হচ্ছে পোস্টেরিওর রিভারসিবল এনকেফালোপ্যাথি সিনড্রোম।
প্রেস সিনড্রোমের সব কারণ জানা না গেলেও অনেক কারণ জানা গেছে। এসবের মধ্যে আছে-
১। অনেক বেশি উচ্চ রক্তচাপ ।
২। এক্লাম্পসিয়া।
৩। কিডনী ফেইলিওর
৪। লুপাস
৫। ম্যাগনেসিয়াম কমে যাওয়া
প্রেস সিনড্রোমে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। সব সময় যে একই উপসর্গ দেখা যায় তা নয়। তবে সচরাচর যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে আছে-
১। মাথাব্যথা
২। বমিভাব
৩। বমি
৪। খিঁচুনি
৫। চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া ৬। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন। ৭। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
অভিজ্ঞ একজন নিউরোলজিস্ট ইতিহাস শুনে এবং রোগীকে পরীক্ষা করেই ডায়াগনসিস করতে পারেন। গজও করলে প্রেস সিনড্রোম বোঝা যায়। সেরেব্রাল এনজিওগ্রাফি করেন আরো নিশ্চিতভাবে ডায়াগনসিস করা যায়।
সে কারণে প্রেস সিনড্রোম হচ্ছে সে কারণ দূর করলে সিনড্রোমের উন্নতি হয়।
যেমন উচ্চ রক্তচাপের জন্য যদি এমন হয় তবে উচ্চ রক্তচাপ দূর করলে এটি ভাল হয়ে যায়।
প্রেস সিনড্রোমের পরিণতি ভাল। ১-২ সপ্তাহের মধ্যেই ভাল হয়ে যায়। তবে প্রেস সিনড্রোম থেকে মৃত্যুও হতে পারে। ব্রেন ইডেমা এবং ব্রেনের ভেতর রক্তপাত হয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।
প্রেস সিনড্রোম যেহেতু ১৯৯৬ সালে প্রথম আলোচনা হয়েছে তাই এ রোগের বিস্তার নিয়ে এখনো পুরোপুরিভাবে জানা যায়নি। তবে উচ্চরক্তচাপ ও এক্লাম্পসিয়া আমাদের দেশে অনেক দেখা যায়। এ থেকে বলা যায় আমাদের দেশে প্রেস সিনড্রোমের রোগী আছে অনেক।
ষ ডাঃ মো. ফজলুল কবীর পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।