বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় শেখ হাসিনার উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসনীয়। দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশকে সবুজায়নে অসম্ভব সাফল্য দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আজ (৩০ জুন) বুধবার আশুলিয়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন ।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে আজকের এই উদ্যোগ। আজ সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শোনা যায়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য নিজেদের প্রস্তুতির বিকল্প নেই, এ বিষয়টি বঙ্গবন্ধু আগেই অনুধাবন করেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার সাথে সাথে দেশকে সবুজায়ন, বনায়নের মধ্য দিয়ে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু । এমনকি উপকূলীয় এলাকায় সবুজায়ন করার উদ্যোগও বঙ্গবন্ধুই নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু একজন পরিবেশ প্রেমিক, প্রকৃতি প্রেমিক হিসেবে সবসময় পরিবেশের উন্নয়নের বিষয়টি প্রাধান্য দিতেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে আসেন তখন শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সবুজায়নের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা শুধু দেশের মানুষ, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেননি, সুস্থ ভাবে বেচে থাকার জন্য পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনায়নের মাধ্যমে সবুজ প্রকৃতি গড়ার ক্ষেত্রেও লড়াই-সংগ্রাম চালিয়েছেন গেছেন। তার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত সুন্দর পরিবেশে বেঁচে থাকুক। এছাড়া বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার জন্য কৃষককে, দেশের মানুষকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করতেন এবং নিজেও গাছ লাগাতেন।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাছ মানুষের জীবন ও জীবিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ, গরিব মানুষের জন্য গাছ হলো জীবনবিমা। এটি একদিকে ছায়া, ফল ও কাঠ দেয়; অন্যদিকে বিপদের দিনে বিক্রি করে অর্থ সংস্থান করা যায়। বৃক্ষরোপণের আর্থিক লাভের দিকটি জনগণকে জানাতে ও বোঝাতে হবে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সঙ্গে সকল শ্রেণির মানুষের স্বার্থের সমন্বয় করা জরুরি।
তিনি বলেন, আমরা জীবন ধারণের জন্য যে অক্সিজেন গ্রহণ করি তা বৃক্ষ থেকে পেয়ে থাকি। আর আমাদের নিঃসৃত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে জীবন ও প্রকৃতির মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করে বৃক্ষ। আজ করোনাকালে আমরা বুঝতে পেরেছি অক্সিজেনের গুরুত্ব কতখানি। তাই আমাদের অবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য হল ব্যাপকভাবে বৃক্ষায়নের মাধ্যমে অক্সিজেন ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করা।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় দেশ ও দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করে, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ সুন্দরভাবে ভারসাম্য পরিবেশে বেঁচে থাকুক। সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দেশের মানুষ ও দেশের জন্য রাজনীতি করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য করোনার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন । বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ এই মহামারীর মধ্যেও অনেক ভালো আছে । শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ আবার সুন্দর একটি পরিবেশ ফিরে পাবে এবং প্রিয় মাতৃভূমিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেই প্রতিশ্রুতি অবশ্যই আমরা বাস্তবায়ন করবো ইনশাল্লাহ।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য নির্মল গোস্বামী, কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মোল্লা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।