নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে স্পেনকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। দুই গোলে এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষকে নির্ধারিত সময়ে জিততে দেয়নি গত বিশ্বকাপের রানার্সআপরা। তবে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটি ৫-৩ গোলে জিতলো স্পেন। ইউরোর ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ গোলের কীর্তি গড়লো তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ফ্রান্স কিংবা সুইজারল্যান্ডকে।
স্পেন গোলকিপার উনাই সিমনের নির্লিপ্ত মনোভাবের কারণে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। মুহুর্মুহু আক্রমণে গিয়ে স্পেনও আদায় করে নেয় তিনটি গোল। ৭৬ মিনিটে স্কোর ৩-১। জয়ের স্বপ্নে বিভোর স্পেন। তাদের এই স্বপ্নের রেশ কেটে গেলো কিছুক্ষণের মধ্যে। ৭ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল শোধ দিয়ে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেয় ক্রোয়েশিয়া। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ৩-৩ ব্যবধানে।
ক্রোয়েশিয়া শুরু থেকে ছিল নিষ্প্রভ। প্রথমার্ধে লক্ষ্যে একটি শটও নিতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। বরং ১৩ ও ১৬ মিনিটে সারাবিয়া ও কোকে কাঁপান তাদের রক্ষণভাগ। প্রথমে আলভারো মোরাতার পাস থেকে সারাবিয়ার শট সাইড নেট ঘেষে চলে যায়। আর কোকের শট পা দিয়ে ঠেকান ক্রোট গোলকিপার লিয়াকোভিচ। এর চার মিনিট পর উনাই সিমনের হাস্যকর ভুলে আত্মঘাতী গোল করে বসে স্পেন। পেদ্রি লম্বা ব্যাকপাস দেন তাকে, কোনও চাপ ছিল না। তারপরও ডান পা বাড়িয়ে বল ধরতে যান স্প্যানিশ গোলকিপার, তাকে চমকে দিয়ে পায়ে আলতো স্পর্শ করে বল ঢুকে যায় জালে।
বিরতির আগেই সমতা ফেরায় স্পেন। ৩৮ মিনিটে বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে গায়ার শট লিয়াকোভিচ ফিরিয়ে দেন। তবে ফিরতি শটে ক্রোট গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে বল জড়ান সারাবিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে স্পেন এগিয়ে যায়। ফেরান তোরেসের চমৎকার ক্রসে ৫৭ মিনিটে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন সিজার আজপিলিকুয়েতা।
৬৭ ও ৬৯ মিনিটে ভার্দিওল ও ক্রামারিচের দুটি শট দুর্দান্ত সেভে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন সিমন। ৭২ মিনিটে মোরাতা গোল করলেও অফসাইডে ছিলেন। চার মিনিট পর পাউ তোরেসের ক্রসে ৩-১ করেন ফেরান তোরেস।
১৪ মিনিট হাতে রেখে দুই গোলের লিড নিয়ে সহজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল স্পেন। তখনই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে ক্রোয়েশিয়া। ৮৫ মিনিটে স্পেনের ডিবক্সের মধ্যে হাঙ্গামা বেধে যায় বল নিয়ে। মদরিচের ক্রস থেকে কাছের পোস্টে শট নেন ক্রামারিচ, তার শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন আজপিলিকুয়েতা। পরে আবারও ওরসিচের প্রচেষ্টা ঠেকান চেলসি তারকা, কিন্তু গোললাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায় বল লাইন পেরিয়ে গেছে।
ওই এক গোল দিয়েই ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় ক্রোয়েশিয়া। ইনজুরি টাইম যোগ হয় ছয় মিনিট। দ্বিতীয় মিনিটেই অসাধারণ গোলে ৩-৩ করে ক্রোয়েশিয়া। বাঁ দিক থেকে ওরসিচের লম্বা ক্রসে দুই স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাকের মাঝখান থেকে লাফিয়ে লক্ষ্যভেদী হেড করেন পাসালিচ। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই দুই দল লক্ষ্যে শট নেয়। ৯৬ মিনিটে ক্রামারিচের দুর্দান্ত ভলি রুখে দেন সিমন। দুই মিনিট পর ওলমোর শট ব্লক করেন কালেতা-কার। দুটি সুযোগ নষ্টের হতাশায় ভাসে দুই দল। তবে স্পেন আবারও গোল উদযাপনে মাতে। ১০০ মিনিটে ওলমোর বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রসে মোরাতা ডান পায়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ে লক্ষ্যভেদ করেন।
তিন মিনিট পর আবারও ওলমোর চোখ ধাঁধানো ক্রস, এবার ওয়ারজাবাল আড়াআড়ি শটে বাঁ দিক থেকে লিয়াকোভিচকে পরাস্ত করেন। আবারও দুই গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে লক্ষ্যে শট রেখেছিল ক্রোয়েশিয়া। স্পেনের দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে শট নেন বুদিমির, সিমন দারুণ দক্ষতায় দলকে বাঁচান।
তিন বছর আগে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ফ্রান্সের কাছে হেরে শিরোপা জেতা হয়নি। ওই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ইউরোতে অংশ নিয়েছিল তারা। কিন্তু আগের তিনবারের মতো এবারও প্রথম নকআউট ম্যাচেই বিদায় নিতে হলো ক্রোটদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।