Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপকূলীয় ভাঙন রোধে যা করা দরকার

মো. আরাফাত রহমান | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

উপকূলীয় ভাঙন বলতে প্রবাহ, মহাসাগরীয় স্রোত বা জোয়ার-ভাটা, পানিতে বাতাসের স্রোত, পানিবাহিত বরফ এবং ঝড়ের অন্যান্য প্রভাবের কারণে ভূমি হারানো বা স্থানান্তরিত হওয়া অথবা তটরেখার পলি-পাথরের পানিতে তলিয়ে যাওয়াকে বোঝায়। উক্ত উপাদানগুলোর ক্রিয়ায় উপকূলীয় ভূমি দুর্বল হয়ে পড়লে উপকূলীয় ভাঙন ঘটে। জোয়ার-ভাটা, মৌসুম এবং অন্যান্য ছোট পর্যায়বৃত্ত বিষয়গুলোর মাধ্যামে ভূমির দিকে তটরেখার এগিয়ে আসা আপাত মাত্রায় মাপা যায়। উপকূলীয় ভাঙন হাইড্রোলিক ক্রিয়া, ঘর্ষণ এবং বায়ু, পানি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক-অপ্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান কর্তৃক জারণের কারণে ঘটতে পারে।

ঢেউ যখন কিনারার মাথায় এসে আঘাত করে উপক‚লের ফাটলে বাতাস সংকোচন করে, তখন হাইড্রোলিক ক্রিয়া সংঘটিত হয়। এটি সেখানকার মৃত্তিকাস্তরের উপর চাপ প্রদান করে দ্রুত সেটিকে ভেঙে ফেলে মৃত্তিকাকণাগুলো অপসারণ করে। সময়ের সাথে সাথে এই ফাটলটি বড় হতে পারে, ফলে কখনও কখনও গুহা তৈরি হতে পারে। ভেঙে যাওয়া মৃত্তিকাস্তর সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যায় এবং সেগুলো ঢেউয়ের অধিকতর ক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। ঢেউয়ের কারণে হালকা মৃত্তিকাস্তরের ধ্বংসাবশেষের আলগা অংশগুলোর একটি আরেকটার সাথে সংঘর্ষের মাধ্যমে চুর্ণন ঘটলে এবং হ্রাস পেয়ে দ্রুত ছোট, মসৃণ এবং গোলাকার হতে থাকলে তখন ঘর্ষণ ঘটে। যখন সমুদ্রের পিএইচ মান কিনারার অভিমুখের পাথরগুলোর ক্ষয় করে তখন জারণ বা দ্রবিভূবন সংঘটিত হয়।

বঙ্গীয় বদ্বীপ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত, যথা- নিষ্ক্রিয় অথবা পরিত্যক্ত গাঙ্গেয় জোয়ার-ভাটা প্লাবনভূমি ও সক্রিয় মেঘনা বদ্বীপীয় প্লাবনভূমি। এই দুই প্রকার ভূ-প্রকৃতির মধ্যে গাঙ্গেয় জোয়ার-ভাটা প্লাবনভূমি মেঘনা বদ্বীপীয় প্লাবনভূমি চেয়ে বেশি পুরোনো এবং মেঘনা বদ্বীপীয় প্লাবনভূমি ভূতাত্তি¡কভাবে অনেক নতুন। মেঘনা বদ্বীপীয় প্লাবনভূমির বিস্তৃতি চট্টগ্রাম উপক‚ল থেকে তেঁতুলিয়া চ্যানেল পর্যন্ত। সর্বদা পরিবর্তনশীল রূপবিশিষ্ট ভূমির এই অঞ্চলটি খুবই গতিশীল, তবে এর বদ্বীপীয় এলাকার চ্যানেল এবং দ্বীপাঞ্চলের ভাঙন নিয়ে অনেক সমীক্ষাকার্য পরিচালনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের তটরেখা ও তার সংলগ্ন অঞ্চলগুলো বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ভূত জোয়ার-ভাটা সৃষ্ট তরঙ্গের প্রতিসরণ ক্রিয়া দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ প্রতিসরণের কারণ হলো আন্তঃসাগরীয় গিরিখাত সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড-এর ক্রিয়া। এই প্রতিসরণ ক্রিয়ার জন্য গিরিখাতের উভয় দিকে জোয়ার-ভাটার উচ্চ পরিসর ও গিরিখাতের সামনের দিকে জোয়ার-ভাটার নিম্ন পরিসর সৃষ্টি হয়।

স›দ্বীপ এবং হাতিয়া চ্যানেলে তটরেখার আকৃতি ফানেলের মতো, তাই জোয়ার-ভাটার ক্রিয়ায় এর প্রভাব লক্ষনীয়। এ অঞ্চলে জোয়ার-ভাটার পরিসর উচ্চ হয়ে থাকে। সক্রিয় বদ্বীপীয় অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় মধ্যম-জোয়ার-ভাটার ক্রিয়ার প্রভাব বিস্তৃত থাকে। এই অঞ্চলগুলোতে জোয়ার-ভাটার গড় পরিসর ২ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু স›দ্বীপের নিকটবর্তী ক্ষুদ্র অঞ্চলগুলোতে উচ্চ জোয়ার-ভাটা দেখা যায় এবং সেগুলোর গড় পরিসর সাধারণত ৪ মিটারের বেশি। স›দ্বীপের উত্তরাংশে ভরা-কটালের সময় জলোচ্ছ্বাস হলে স›দ্বীপ এবং হাতিয়া চ্যানেলের মধ্য দিয়ে আসা দুটি জলোচ্ছ্বাসের সংঘর্ষ হয়। ভরা জোয়ারের সময় স›দ্বীপ ও হাতিয়া চ্যানেল অঞ্চলে জোয়ারের কারণে সৃষ্ট তরঙ্গের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩ মিটার অতিক্রম করে। মৌসুমি ঋতুতে পশ্চিম শাহবাজপুর ও হাতিয়া চ্যানেল এলাকায় ভাটার সৃষ্ট গতিবেগ সাধারণত প্রতি সেকেন্ড ৩ মিটারের অধিক হয়ে থাকে। বিভিন্ন চ্যানেলের পলির বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, স›দ্বীপ ও হাতিয়া চ্যানেলের পরিবেশ কর্দম এবং শাহবাজপুর এবং তেঁতুলিয়া চ্যানেলের পরিবেশ সূ² বালুকাময়।

চট্টগ্রাম উপকূলরেখা বিগত বছরগুলোতে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল কিন্তু ফেনী নদীতে বাঁধ দেওয়ার জন্য উত্তরে ভূমি পরিবৃদ্ধি ঘটেছে। এর কারণ সম্ভবত বর্তমান কালের প্রবাহ জালিকা থেকে সন্দ্বীপ চ্যানেলের প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। বর্তমানে স›দ্বীপ চ্যানেলে জোয়ার-ভাটার প্রাধান্য বিরাজমান এবং শুধু মিহি পলিকণাই এখানে সঞ্চিত হতে পারে। বিগত বছরগুলিতে নোয়াখালী তটরেখার যথেষ্ট পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ পরিবর্তন পুরোনো নিম্ন মেঘনা নদীর তলদেশে ভূমি পরিবৃদ্ধির ফলাফল হিসেবে সংঘটিত হয়। দুটি আড়-বাঁধ দেওয়ার কারণে এই পরিবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় এবং ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫২,০০০ হেক্টর ভূমি পরিবৃদ্ধ হয়েছে। সংযোজিত এ ভূমির আয়তনকে শুধু নদীসমূহ দ্বারা পরিবাহিত বার্ষিক পলিরাশির পরিমাণের সাথে তুলনা করা যায়। যদিও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে নোয়াখালী তটরেখার বৃদ্ধি সংঘটিত হলেও স্থানীয়ভাবে কিছু কিছু এলাকায়ও ভাঙন পরিলক্ষিত হয় যেমন, শাহবাজপুর চ্যানেলের উপরিভাগে নোয়াখালী তটরেখায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভাঙন সংঘটিত হয়েছে।

জোয়ার-ভাটা প্রবণ সন্দ্বীপ দ্বীপাঞ্চল পূর্ব হাতিয়া চ্যানেল, সন্দ্বীপ চ্যানেল এবং উড়িরচর সংযোগকারী চ্যানেল দ্বারা আবদ্ধ একটি অঞ্চল। ১৯১৩ সালের সন্দ্বীপের সাথে ১৯৮৮ সালের সন্দ্বীপ দ্বীপাঞ্চলের তুলনা করে গেছে যে, প্রায় ৭৫ বছরের ব্যবধানে সন্দ্বীপের আয়তন প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সন্দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমা অংশে যথেষ্ট ক্ষয় হয়েছে এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশে প্রচুর পরিমাণে ভূমিবৃদ্ধি ঘটেছে। ১৯৬৩ সালের পর থেকে সন্দ্বীপের উত্তর পশ্চিম অংশে ক্ষয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯১৩ সাল থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে ক্ষয়কার্যের হার প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিটার এবং ১৯৬৩ থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে এ হার বৃদ্ধি পেয়ে হয় প্রতিবছরে প্রায় ৩৫০ মিটার। উড়িরচরের আয়তন ১৯৬৩ সালের ৩ বর্গ কিলোমিটার থেকে ১৯৮১ সালে ৪৬ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

হাতিয়া দ্বীপ দক্ষিণ এবং পশ্চিম হাতিয়া চ্যানেল এবং পূর্ব শাহবাজপুর চ্যানেল দ্বারা আবদ্ধ। পূর্ব শাহবাজপুর চ্যানেলটি একটি বন্যাপ্রবণ চ্যানেল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম হাতিয়া চ্যানেলটি ভাটা প্রবণ। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সময়ে হাতিয়া দ্বীপের উত্তরাংশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভাঙন হয়েছে। কিন্তু একই সাথে দক্ষিণাংশে যথেষ্ট পরিমাণে সঞ্চয়নও সংঘটিত হয়েছে। ১৯৬৩ সালের আগে হাতিয়ার উত্তর অংশে ক্ষয়ের বার্ষিক হার খুবই কম থাকলেও ১৯৬৩ সালের পর থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে এ ক্ষয়ের মাত্রা বেড়ে গিয়ে বছরে ৪০০ মিটার হয়, যা এই অঞ্চলগুলোতে ক্ষয়হারের সর্বোচ্চ মান। ভোলা দ্বীপ উত্তর দিকে তেঁতুলিয়া চ্যানেল এবং পূর্ব দিকে শাহবাজপুর চ্যানেল দ্বারা আবদ্ধ এবং আবদ্ধকারী চ্যানেলগুলো ভাটাপ্রবণ। ভোলা দ্বীপের উত্তর-পূর্ব তটরেখার অত্যধিক ভাঙনের শিকার হওয়া অংশে ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ভাঙনের হার প্রতি বছরে প্রায় ১৫০ মিটার ছিল। ১৯৬৩ সাল এবং ১৯৮৯ সালের জরিপ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, একই সাথে ক্ষয় ও সঞ্চয়ন দুটি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার কারণে ভোলা দ্বীপের সংকোচন ও বৃদ্ধি দুটোই ঘটেছে। প্রধানত উত্তর-পূর্ব দিকে ক্ষয় ঘটেছে এবং দক্ষিণ দিকে ভূমি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে।

উপকূলীয় ভাঙন নিয়ন্ত্রণের তিনটি সাধারণ পদ্ধতি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- হালকা ভাঙন নিয়ন্ত্রণ, শক্ত ভাঙন নিয়ন্ত্রণ এবং স্থানান্তর। শক্ত ভাঙন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হালকা ভাঙন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির চেয়ে বেশি স্থায়ী সমাধান দেয়। এটি মেরামত বা প্নুঃনির্মাণ করার প্রয়োজন হয়। সমুদ্রপ্রাচীর এবং কাঠের বাঁধের গড় স্থায়িত্ব কাল যথাক্রমে ৫০-১০০ বছর এবং ৩০-৫০ বছর। এগুলোর আপেক্ষিক ভালো কার্যকারিতার জন্য এদেরকে ভাঙনের চূড়ান্ত সমাধান বলে ধারণা করা হয়। সমুদ্রপ্রাচীর উপকূলে জনগণের প্রবেশ বাধাগ্রস্ত করে এবং উপকূলের প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিবর্তন করে। কাঠের বাঁধেও উপকূলের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত হয়। কেউ কেউ মনে করেন যে, কাঠের বাঁধ বিচ নারিশমেন্ট প্রজেক্টগুলোর মধ্যবর্তী সময় কমিয়ে আনতে পারে, যদিও সেটিকে বিচ নারিশমেন্টের সমাধান হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। বৃক্ষ রোপণ এবং বিদ্যমান উদ্ভিকূলের যেমন, ম্যানগ্রোভ বন এবং প্রবাল-প্রাচীরের পরিচর্যা শক্ত ভাঙন নিয়ন্ত্রণ এর প্রাকৃতিক রূপ।

হালকা ভাঙন নিয়ন্ত্রণ কৌশল ভাঙনের প্রভাবের গতি হ্রাস করার সাময়িক ব্যবস্থাপনা হিসেবে নির্দেশিত। এই ব্যবস্থাপনার মধ্যে সিব্যাগ এবং বিচ নারিশমেন্ট স্থায়ী সমাধান বা দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান নয়। উপকূল আঁচড়ানো অথবা বিচ বুলডোজিং কোনো স্থাপত্যের ভিত রক্ষায় সেটির সামনে একটি কৃত্রিম বালিয়াড়ি সৃষ্টি করে। অধিকাংশ সাধারণ হালকা ভাঙন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে বিচ নারিশমেন্ট কার্যক্রম। এই কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাঙনে হারানো পুনঃস্থাপনার জন্য বালি পঙ্কোদ্ধার এবং উপকূলে স্থানান্তর। প্রায়ই বড় বড় ঝড় হওয়া অঞ্চলগুলোর মতো কিছু ক্ষেত্রে বিচ নারিশমেন্ট উপযুক্ত পদক্ষেপ নয়। ডাইনাামিক রিভেটমেন্টে প্রাকৃতিক ঝড় প্রবণ উপকূলের বৈশিষ্ট্য অনুকরণের জন্য পাথর ব্যবহার করা হয়। খোলা উপকূল সীমানার মতো উচ্চ শক্তি পরিবেশ হালকা ভাঙন নিয়ন্ত্রণের বিকল্প হতে পারে।

উপকূল থেকে দূরে যেকোনো বাড়ির অবকাঠামো পুনঃস্থাপন করাও একটি উপায়। পূর্ণ এবং আপেক্ষিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং ভাঙনের প্রক্রিয়াসমূহকে পুনঃস্থাপন প্রক্রিয়ায় বিবেচনা করা হয়। পুনঃস্থাপন সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং স্থাপত্যের ভূ-কাঠামোর উপর নির্ভর করে স্থাপনাটিকে সমুদ্র থেকে অল্প কিছু দূরে নিয়ে যাওয়া। পুনঃস্থাপনের কারণে কোনো অঞ্চলের সকল উন্নয়ন অপসারিত হতে পারে। সাধারণত এই প্রক্রিয়ার প্রতি জনসমর্থন কম। সাধারণ আবহাওয়ার চেয়ে ঝড় আরও দ্রুত ভাঙন ঘটায়। হস্তকৃত জরিপ, অ্যাল্টিমিটার এবং জিপিএস এর মাধ্যমে প্রাপ্ত উপাত্ত ব্যবহার করে ঝড়ের আগে এবং পরের তুলনা করা যায়। ল্যান্ডস্যাট দৃশ্যের মতো দূর অনুধাবন উপাত্ত উপকূলীয় ভাঙনের বড় পরিসরে এবং বহু বছরব্যাপী অনুমানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেখক: সহকারী কর্মকর্তা, ক্যারিয়ার এন্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস বিভাগ, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপকূলীয় ভাঙন রোধ
আরও পড়ুন