নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শক্তিশালী নেদারল্যান্ডসকে গুড়িয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিলো চেক প্রজাতন্ত্র। রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় বুদাপেস্টে শুরু হওয়া শেষ ষোলর লড়াইয়ে চেকরা ২-০ গোলে হারায় ডাচদের। তমাস হোলেসের গোলে দলটি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান প্যাট্রিক শিক।
এ ম্যাচে পরিস্কার ফেবারিট ছিল নেদারল্যান্ডস। গ্রুপে তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়ার গ্রুপ থেকে তৃতীয় হওয়া চেক প্রজাতন্ত্র। যারা এতদূর এসেছে প্যাট্রিক শিকের দুর্দান্ত তিন গোলের সুবাদে।
ওদিকে নেদারল্যান্ডস দলে আছেন ডিপাই, ডি ইয়ং, ভাইনালডাম, ডি লিখটের মতো বড় সব তারকা। কিন্তু আকাঙ্খা আর দৃঢ়তার কাছে হার মানল দক্ষতা। ৫৫ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ডাচরা হেরে গেল পরিশ্রমী চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে।
ম্যাচের শুরুটা নিঃসন্দেহে নেদারল্যান্ডসের। শ্রেয়তর দল হিসেবে নামা দলটি শুরুটা করেছে ফেবা্রিটের মতোই। একের পর এক আক্রমণ করে গেছে চেক ডি-বক্সে। টানা আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে টমাস ভাসিলিকের ত্রাহি ত্রাহি দশা। বেশ কয়েকবার অনেকটাই বেড়িয়ে এসে গোল বাঁচিয়েছেন চেক গোলকিপার। এর মাঝে দুয়েকবার তাঁর বেড়িয়ে যাওয়ার ধরন দেখে চেক সমর্থকদের নির্ঘাত ভয় লেগেছিল।
তবু প্রাথমিক ঝাপটা সামলে নিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। এবং কালে-ভদ্রে আক্রমনে উঠে চেকও ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছিল ডাচ রক্ষণের। ২১ মিনিটে টমাস সুচেকের ডাইভিং হেড কিংবা ২৮ মিনিটে প্যাট্রিক শিকের গোলা একটু এদিক-ওদিক হলেই জালে যেতে পারত।
ওদিকে চেক নিজেদের রক্ষণ জমাট করতে ফরমেশন বদলে ৫-৪-১ করে ফেলে। বলের জোগান নিশ্চিত করতে নেদারল্যান্ডসের মেম্ফিস ডিপাইকে মাঝমাঠে নেমে আসতে হচ্ছিল। কিন্তু গোছানো ফুটবল নয়, চেকদের বিপাকে ফেলতে দ্রুত গতিতে আক্রমণই একমাত্র উপায় হয়ে উঠছিল। এর মধ্যেই ম্যাচের প্রথম নিশ্চিত গোলের সুযোগটা এলো।
খেলার ধারার বিপরীতে আচমকা সুযোগ পায় চেকরা। লুকাস মাসোপুস্তের কাছ থেকে ১০ গজের মধ্যে বল পেয়ে গিয়েছিলেন আন্তোনিন বারাক। কিন্তু বাঁ পায়ের শট ডি লিখট বাঁধা পেরোতে পারেনি। প্রথমার্ধ শেষে তাই কোনো দলকে এগিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। এর মধ্যে একটি দুশ্চিন্তায় পড়ার মতো পরিসংখ্যানের জন্ম দিল নেদারল্যান্ডস। এই ইউরোতে আজই ৪৫ মিনিটের মধ্যে গোলে কোনো শট নেই ডাচদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেতে পারত নেদারল্যান্ডস। কিন্তু ৪৯ মিনিটে ডনিয়েল মানেলের কাছে বল পাঠাতে পারেননি ডুমফ্রিজ। আর ৩ মিনিট পর মানেলকে ফাঁকায় বল দিয়েও গোল বের করতে পারেননি ডিপাই। গোলকিপারকে একা পেয়েও শট না নিয়ে কাটানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বল হারিয়েছেন মানেল।
নেদারল্যান্ডসের সর্বনাশ হলো এতেই। মালেন গোল করতে ব্যর্থ হলেন। ওদিকে প্রতিআক্রমণে উঠে গেল চেকরা। প্যাট্রিক শিককে আটকাতে গিয়ে গুবলেট পাকালেন রক্ষণের শেষ ভরসা হয়ে থাকা ডি লিখট। বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় সে বল শিকের পায়ে যাওয়া আটকানোর জন্য হাত দিয়ে বল আটকালেন। রেফারি প্রথমে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআর তাঁকে আরেকবার ভাবতে বলল। মাঠের পাশের স্ক্রিন দেখে সিদ্ধান্ত বদলালেন রেফারি, সরাসরি লাল কার্ড দেখলেন ডি লিখট।
৬৪ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি পাভেল কাদেরাবেক। কিন্তু একজন বাড়তি খেলোয়াড় নিয়ে খেলার সুবিধা ৩ মিনিট পরই বুঝে নিয়েছে চেক। ডাচ গোলকিপার স্টেকেলেনবার্গের ভুলে কর্নার পায় চেক প্রজাতন্ত্র। উড়ে আসা বল দূরের পোস্ট থেকে হেড করে কাছের পোস্টে পাঠান টমাস কালাস। তিনজন ডাচ খেলোয়াড় মিলেও টমাস হোলেসের হেড আটকাতে পারলেন না। যোগ্য দল হিসেবেই এগিয়ে গেল চেক প্রজাতন্ত্র।
পানি পানের বিরতি শেষে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে নেদারল্যান্ডস। কিন্তু আক্রমণ গড়া বা বিপদ সৃষ্টিতে চেকরাই এগিয়ে ছিল। ৮০ মিনিটে ম্যাচ জুড়ে পরিশ্রমের ফল মিলল শিকের। বাঁ পায়ের দারুণ শটে স্টেকেলেনবার্গকে ফাঁকি দিলেন। এ গোলের কৃতিত্ব অবশ্য হোলেসও নিতে পারেন। প্রায় একাই ডাচ রক্ষণে ঢুকে গিয়ে শিককে জায়গা করে দিয়েছেন প্রথম গোলদাতা।
ম্যাচের বাকিটা শুধু নিয়ম রক্ষার। ডাচদের আক্রমণে কোনো প্রাণ ছিল না। ওদিকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করেনি চেকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।