বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পরিবেশবান্ধব, বসবাসযোগ্য এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নগরীর স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নতুন বাজেট ঘোষণা করেছেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল রোববার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য দুই হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেন তিনি।
এবার উন্নয়ন অনুদান খাতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫৭০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মেয়র হিসাবে এটি তার প্রথম বাজেট। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরের এক হাজার এক কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন মেয়র।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অধিবেশনে বাজেট বিবরণী উপস্থাপন করেন অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইসমাইল। উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, মো. গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক।
মেয়র বলেন, প্রাচ্যের রানী খ্যাত বীরপ্রসবিনী চট্টগ্রাম সাগর, পাহাড়, নদী ও সমতলভ‚মি পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে অবস্থিত হওয়ায় এশিয়া তথা প্রাচ্যের সব অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে চট্টগ্রামের রয়েছে অসামান্য অবদান। এ-দেশের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ জোগান দেয় চট্টগ্রাম। তাইতো বলা হয়- চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই সমগ্র দেশের উন্নয়ন। বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে-কয়টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
নগরবাসীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর প্রত্যাশা ও নগরকে পরিবেশ, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও বসবাসযোগ্য করার স্বপ্ন নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করছেন বলে জানান মেয়র। ২০২১-২২ অর্থবছরে পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স শতভাগ অনলাইনে আদায়-প্রদান করা সম্ভব হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, যান্ত্রিক শাখার সব কার্যক্রম সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনার লক্ষ্যে ট্রান্সপোর্ট পুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যমান গাড়িগুলোর সব তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে।
ইতোপূর্বে প্রণীত স্টোর ম্যানেজমেন্ট ও ফুয়েল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে এ সফটওয়্যারের ইন্টিগ্রেশন করা হয়েছে। এছাড়া সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চসিককে আরও স্বাবলম্বী করতে আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বাড়ানো হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। উন্নয়ন কর্মকান্ডে ধীরগতি আর তাতে নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সিটি কর্পোরেশন কাজ করেও যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
চসিকের হোল্ডিং মালিক ও ব্যবসায়ীদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি, ভূমি হস্তান্তর কর, রিকশা লাইসেন্স ফি, বিজ্ঞাপন কর, মার্কেটের দোকানভাড়া ইত্যাদি চলতি আর্থিক সালের মধ্যে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আদায়ের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।