নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথমবারের মতো ইউরোর নকআউট পর্বে খেলতে নামা অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আসরের ফেভারিট ইতালি। সঙ্গে নিজেদের ৮২ বছরের পুরনো টানা অপরাজিত থাকার অসাধারণ একটি রেকর্ড নতুন করে লিখেছে আজ্জুরিরা। গতপরশু রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেরা ষোলোর লড়াইয়ে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রবের্তো মানচিনির শিষ্যরা।
সঙ্গে ইতালি ৮২ বছর আগের নিজেদের রেকর্ড নতুন করে লিখেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকল দলটি। সবশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে, নেশনস লিগে পর্তুগালের বিপক্ষে হেরেছিল তারা।
টানা অপরাজিত থাকার আগের রেকর্ডটি ছিল ৩০ ম্যাচের, সেটি ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সাল সময়ে গড়েছিল আজ্জুরিরা। সেইসময় টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ এবং ১৯৩৬ অলিম্পিকে সোনা জিতেছিল ইতালিয়ানরা।
গোলশ‚ন্য প্রথমার্ধের পর ৬৫ মিনিটে ইতালির জালে বল জড়িয়েছিল অস্ট্রিয়া। মার্কো আর্নাউটোভিচের সেই গোল অফসাইড খাড়ায় বাতিল হয়ে যায়। এরপর নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্যই থাকে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
তার আগেই, নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষদিকে দুটি পরিবর্তন আনেন মানচিনি। সেটি দারুণ কাজে লাগে। ম্যাচের ৯৫ মিনিটে বদলি নামা ফেদেরিকো চিয়েসা লিড আনেন। লেওনার্ডো স্পিনাজ্জোলা বল বাড়িয়েছিলেন।
ম্যাচের ১১৪ মিনিটে সমতা টানে অস্ট্রিয়া। সাসা কালাডজিচ গোল আনেন ল্ইুস সাউবের বাড়ানো বলে। যেটি ১১৬৮ মিনিট পর ইতালির গোল হজম।
ফের লিড নিতে অবশ্য বেশি অপেক্ষা বাড়ায়নি ইতালিয়ানরা। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা প্রথম মিনিটে গোল করেন মাত্তেও পেসিসনা। এবার বল বাড়িয়েছিলেন ফ্রান্সেসকো আচের্বি। সেই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় আজ্জুরিদের।
ইউরোর আরেক ম্যাচে খেলেছিল ডেনমার্ক ও ওয়েলস। ডেনিশরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারিয়েছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে। এরপরের দুই ম্যাচে হেরে ছিল বিদায়ের খুব কাছে। সেই ডেনমার্ক শেষ আটে যাবে, তখন এ কথায় বিশ্বাস করতেন আপনি? তখন অবিশ্বাস্য ঠেকা বিষয়টাকেই বাস্তবতায় রূপ দিয়েছে ডেনমার্ক।
রাশিয়ার পর গেলবারের সেমিফাইনালিস্ট ওয়েলসের জালেও জড়িয়েছে চার গোল। ৪-০ গোলের এই জয়ে ডেনিশরা রূপকথা রচনা করে দিয়ে পৌঁছে গেছে ইউরো ২০২০ এর শেষ আটে।
‘মর্নিং শোজ দ্য ডে’-একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। এতদিন যদি তাতে আপনি বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে আজকের ম্যাচটা আপনাকে তার ওপর সন্দেহ পোষণ করতে বাধ্য করাবে। ১৯৯২ আসরের চ্যাম্পিয়নরা ডলবার্গের জোড়া গোলের পর শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ান ইওয়াখিম মেইল ও মার্টিন ব্র্যাথওয়েট।
নিজেদের প্রাণভোমরাকে প্রথম ম্যাচেই ‘হারানোর’ আপদ ছিল ডেনমার্কের। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন সেদিন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মাঠ ছেড়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন বটে; কিন্তু তিনি ছিলেন, আছেন, থাকবেন ডেনমার্কের অনুপ্রেরণা হয়েই। সে অনুপ্রেরণা না হলে কি আর প্রথম দুই ম্যাচ হেরেও এভাবে শেষ আটে ওঠে ডেনমার্ক?
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হয়ে গেছে। প্রতিপক্ষ হিসেবে আসতে পারে নেদারল্যান্ডস কিংবা চেক প্রজাতন্ত্রের কেউ। সেখানেও হবে নাকি আরেকপ্রস্থ ‘ডেনিশ রূপকথা’?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।