গ্রুপ পর্বে অপ্রতিরোধ্য ইতালিকে দেখা গেলেও শেষ ষোলোয় অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে গেল দলটি। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির নির্ধারিত সময়ে গোল পেল না কোনো দলই। অস্ট্রিয়া একবার গোল পেলেও তা অফসাইডে বাতিল হয়। অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য চাপ জয় করে আলোয় হাসল ইতালি। কষ্টার্জিত জয়ে পা রাখল ইউরোর শেষ আটে।
শনিবার অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইতালি। শেষ আটে যাদের লড়তে হবে বেলজিয়াম বা পর্তুগালের বিপক্ষে। ইতালির জয়ে গোল দুটি করেন ফেদেরিকো চিয়েসা ও মাতেও পেসিনা। দুজনই মাঠে নামেন বদলি হিসেবে। অস্ট্রিয়ার পক্ষে ব্যবধান কমানো গোল সাসা কালাজদজিকের। তিনিও বদলি হিসেবে খেলতে নেমেছিলেন।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ইউরো কাপের নকআউটে পা দেওয়া অস্ট্রিয়া যে ইতালিকে এমন কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে, তা কেই-বা ভেবেছিল! কে জানে, মার্কো আর্নাউটোভিকের দারুণ এক হেডে করা গোলটি ভিএআরে বাতিল না হলে ম্যাচের ফলটা হয়তো অন্য রকমই হতো।
অতিরিক্ত সময়ে ইতালি দুই গোল করার পরও অস্ট্রিয়া একটি গোল পরিশোধ করে নাটকের আভাসও দিয়েছিল।
১২ ম্যাচ পর ইতালির এই প্রথম গোল হজম করা।
শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া ইতালি খেলার প্রথমার্ধে বেশ ভালো ফুটবল খেলেও গোল পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য হতাশ করে দলটি। তবে অতিরিক্ত সময়ে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে রবার্তো মানচিনির দল।
৯৫ মিনিটে স্পিনাৎসলার পাস ধরে ইতালিকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন কিয়েজা। ১০৫ মিনিটের মাথায় ইতালির ব্যবধান বাড়িয়ে অস্ট্রিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন পেসিনা। এবারের ইউরোতে যা শততম গোল।
ম্যাচের ১১৪ মিনিটে সাসা কালাজদজিক ব্যবধান কমান অস্ট্রিয়ার পক্ষে। তাতে অবশ্য ইউরো থেকে অস্ট্রিয়ার ছিটকে যাওয়া রোখা যায়নি।
এদিনের জয়ে ৮২ বছরের পুরনো একটি রেকর্ড ভেঙেছে ইতালি। রেকর্ডটি- নিজেদের ইতিহাসে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড। এই নিয়ে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত রইলো মানচিনির দল। তারা সবশেষ হেরেছিল ২০১৮ সালে, পর্তুগালের বিপক্ষে নেশন্স লিগে।
টানা ৩০ ম্যাচ জিতে আরেক রেকর্ডটি তারা করেছিল ১৯৩৫-৩৯ সময়ে, দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী কোচ ভিত্তরিও পোজ্জোর অধীনে।