Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিন

১৫৫৭ সাংবাদিকের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

দেশের ১৫৫৭ সাংবাদিক এক যুক্ত বিবৃতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। তারা বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে আদালতে স্থায়ী জামিন প্রদানের মাধ্যমে জেল থেকে মুক্তি দেয়ারও দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, খালেদা জিয়া মারাত্মক অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে তার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি কেনোমতেই বাঞ্ছনীয় নয়।
সাংবাদিকরা বিবৃতিতে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৬ বছর। এই প্রবীন বয়সেও তিনি জেলবন্দি। অবশ্য সরকারের বিশেষ অনুমতিতে শর্তযুক্ত মুক্তিতে তিনি এখন নিজ বাসভবনে অবস্থান করছেন। নানা রোগাক্রান্ত হয়ে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। দীর্ঘ চার বছর তার যথাযথ কোনো চিকিৎসা হয়নি। কারাগারে অমানবিক পরিবেশেও তিনি অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হার্টের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, কিডনী ও চোখের সমস্যা ছাড়াও পুরনো আর্থ্রাইটিস এবং নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়া ও কোভিড পরবর্তী জটিলতায় তার শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের কাছে তার অসুস্থতার যে বিবরণ দিয়েছেন তা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি, দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী হিসেবে উপরন্ত একজন জেলবন্দি ব্যক্তির যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারেরই অংশ। তার মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা তাই আদালতের মাধ্যমে তাঁকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই।
সাংবাদিকরা বিবৃবিতে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি এদেশের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির মতো দেশের অন্যতম বড় এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের তিনি চেয়ারপার্সন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তার স্বামী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একজন সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি নিজেও অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয়, গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং এদেশের উন্নয়নে খালেদা জিয়ার অসামান্য অবদান রয়েছে। আমরা আশা করি এমন একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের সামগ্রিক অবদান এবং তার বার্ধক্যের এই কঠিন সময়ের কথা বিবেচনা করে সরকার রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ প্রদর্শন করবেন। তিনি যাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন তার ব্যবস্থা করলে সরকারের এই পদক্ষেপকে দেশবাসী ইতিবাচক হিসেবেই দেখবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতা বিশিষ্ট ও সিনিয়ার সাংবাদিকদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্যরা হলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বাসসের সাবেক প্রধান সম্পাদক আমানউল্লাহ, দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, দৈনিক দিনকালের সম্পাক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৭ জুন, ২০২১, ৪:৫২ এএম says : 0
    আজ আসলেই সেই পুরনে কথাটি মনে পড়েছে সেই এক কাহিনি ,আসলে মানুষ কেমনে এতে নিষ্ঠুর হয় ক্ষমতার লোভে একজনকে আরোক জন ভুলে গেল,আমি দুই জন প্রধান মন্ত্রী কথাই বলতেছি ,এক জন প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী আরোক জন বর্তমান প্রধান মন্ত্রী উনারা দুই জন এক মায়ের পোটের বোন যে রকম ছিল সে ভাবেই দেখেছি,দুই জনের যুক্তি দুই জনের পরামর্শেই এরশাদের পতন ।সংবিধান সংশোধন সংসদীয় পদ্ধতি,এবং দুইজনে ক্ষমতায় একজন হয় এখন নাই আরোক জন আজ বার তের বসর পায়,আমার কাছে অবাক লাগছে ক্ষমতার জন্য কি করে মানুষ এতে নিষ্ঠুর হতে পারে,যে যায়গায় দুই বোন তিন দিন গোপন বৈঠক করলেন বংগে ভবনে এবং সুগন্ধায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা,সাংবাদিক নাই মিডিয়া নাই,দুই বোনের যুক্তিতে এরশাদের পতন সংসদীয় পদ্ধতি করে দুই বোন ক্ষমতায়,কিন্তু আর্চারযের বিষয় ক্ষমতার লোভে কি করে এক বোন কে অন্য বোন ভুলে যায় আথবা ভুলে গেলেন ,এতে নিষ্ঠুর পৃথিবী আমি আর দেখিনি,যে যায়গায় দুই বোন এক কথায় উঠলেন বসলেন সেই জায়গায় এক বোনের অসুখ অথচ আরোক বোন তার পতি খেয়াল না করে ক্ষমতা নিয়ে ভেস্ত,এইটাই কি আসলে পৃথিবীর নিয়ম,আমি নিজে দেখেছি 1991ইং পরে প্রধান মন্ত্রী সেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া এক মায়ের পোটের বোনের মতে ছিলেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ