বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট করোনার বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ। সেই হাসপাতালের আইসিইউর ১৬টি এসির মধ্যে ৭টি বিকল। এমন অভিযোগ রোগীর স্বজনরা। এসি বিকল থাকায় গরমে হাঁসফাঁস করছেন রোগীরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসি বিকল নয়, গ্যাস কমে যাওয়ায় এগুলো কাজ করছে না ঠিকমতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য শয্যা রয়েছে ৯৬টি। এরমধ্যে শয্যা রয়েছে ১৬টি আইসিইউ। এরমধ্যে ডায়ালাইসিস-এর রোগীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে দুটি শয্যা। হাসপাতালটির আইসিইউ প্রায় সব সময় রোগীতে পূর্ণ থাকে। আইসিইউ বেডের প্রতিটির উপরে রয়েছে এসি। এছাড়া বড় একটি পাঁচ টনের এসি রয়েছে। বড় এসি সচল থাকলেও বাকি ১৬টি ছোট এসির মধ্যে ৭টি কয়েকদিন ধরে বিকল হয়ে আছে বলে জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা। রোগীর একাধিক স্বজন সূত্র জানা যায়, ‘গরমের কারণে আইসিইউর দরজা খুলে রাখতে হচ্ছে। আইসিইউ ইউনিটের সব ফ্যান চালু করে, দরজা-জানালা খুলে দিয়েও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না গরমে। অনেক রোগীর স্বজন ব্যক্তিগতভাবে টেবিল ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান কিনে আনতে বাধ্য হচ্ছেন। দরজা জানালা খুলে দেওয়ায় বাইরে থেকে গন্ধও আসছে হাসপাতালের বর্জ্য পোড়ানোর।’
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালটিতে ৯০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। এখন এই হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগী ছাড়া ভর্তি করা হচ্ছে না কাউকে। আইসিইউর ১৪টি শয্যার মধ্যে সবগুলোতেই এখন রোগী ভর্তি আছেন। তবে, ডায়ালাইসিসের দুটি শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে একটি। এব্যাপারে জানতে চাইলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, ‘হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা ছোট ১৬টি এসি ও একটি এসি রয়েছে বড়। সচল আছে বড় এসি। তবে ছোট ১৬টির মধ্যে ৭টি এসি থেকে খুব কম বের হচ্ছে বাতাস। আমরা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বিষয়টি জানিয়েছি। বৃহস্পতিবার এসিগুলো দেখে গেছেন তারা । গ্যাস কমে যাওয়ায় ঠান্ডা কম হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।