নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করেছিল স্পেন। অনিশ্চিত ছিল শেষ ১৬। সব অনিশ্চয়তা কাটিতে স্লোভাকিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েই পা রেখেছে নকআউটে। তবে গ্রুপ রানার আপ হতে হচ্ছে তাদের, কারণ অন্য ম্যাচে পোল্যান্ডকে শেষ মুহূর্তে ৩-২ গোলে হারিয়ে সুইডেন হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। শেষ ১৬ তে তাই স্পেনের প্রতিপক্ষ মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া।
স্লোভাকিয়ার সাথে শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্পেন। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোকের ফাউল কপাল খুলে দিয়েছিল স্পেনের। ভিএআরে রেফারি উল্টো স্লোভাকিয়ান ডিফেন্ডারেরই ফাউল খুঁজে পেলে পেনাল্টি পায় স্পেন। কিন্ত দুর্ভাগ্যবশত জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন আলভারো মোরাতা। মোরাতার ডান পায়ের শট দুব্রাভকা তাঁর ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে স্লোভাকিয়াকে বাচিয়ে তখন রীতিমতো হিরো। এর মিনিট আঠারো পরেই তার ভুলেই কপাল পুড়েছে স্লোভাকিয়ার।
বক্সের কিনারা থেকে পাবলো সারাবিয়ার নেওয়া বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শট ক্রসবার লেগে ফিরে আসে। এরপর শূন্যে থাকা বল দুব্রাভকা ক্লিয়ার করতে গিয়ে উলটো নিজেদেরই জালে ঢুকিয়ে দেন। এবারের ইউরোর সপ্তম আত্মঘাতী সে গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। মাঝখানে আরও কয়েকটা সুযোগও তৈরি করেছিল স্পেন। কোকে অসাধারণ এক থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন। সিক্স-ইয়ার্ড বক্সের সামনে থাকা সারাবিয়া সেটিতে পা লাগাতে পারেননি, ডান প্রান্ত থেকে আসা আজপিলিকুয়েতার ক্রসে আরেকবার পারেননি পেদ্রি। মোরাতার জোরালো কিন্ত সোজা মারা একটা শট সেভ দিয়েছিলেন দুব্রাভকা।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে ওই গোলের পরেও স্পেন গোলের কাছে গিয়েছিল কয়েকবার। শেষ পর্যন্ত যোগ করা সময়ে গোল পেয়েই যায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। কর্নার থেকে আসা বল কয়েকটা হেড বিনিময় শেষে পান পেদ্রি, এরপর দারুণভাবে চিপ শটে বল বাড়িয়ে দেন মরেনোর দিকে। মরেনো বক্সের ডান প্রান্ত থেকে একেবারে গোললাইনের কাছ থেকে ক্রস করেন। এরপর এমেরিক লাপোর্তে বল জালে পাঠালে ২-০ স্কোরলাইনেই দুদল বিরতিতে যায়।
সেভিয়ায় এ ম্যাচে স্লোভাকিয়া অন টার্গেট কিংবা অফ টার্গেট, শট নিতে পারেনি একটিও। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা শুরু ভালো করলেও গোলের খুব কাছে আর যাওয়া হয়নি স্লোভাকিয়ার। অপরদিকে এ ম্যাচেও একাধিপত্যের ধারা বজায় রেখেছে স্পেন। ফিনিশিং দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারলে যে স্পেন কতটা দুর্দান্ত হতে পারে সেটির নজিরও দেখিয়েছে একই সাথে।
৫৬ মিনিটে সারাবিয়ার চমৎকার ফিনিশিংয়ে গোল ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। বাম পাশ থেকে জর্দি আলবার ক্রসে দারুণভাবে বল জালে জড়িয়েছিলেন সারাবিয়া। এরপর সারাবিয়ার পাস থেকেই বল পেয়ে বদলি নেমে ম্যাচে নিজের প্রথম টাচেই গোল করেছেন ফেরান তোরেস। ৭১ মিনিটে আরেকটি আত্মঘাতী গোলে স্পেন পায় পঞ্চম গোল। যদিও সে গোলটাতে কিছু করার ছিল না কুচকার, পাও তোরেসের হেডারটা গোলকিপারকে পরাস্ত করে যাওয়ার পরেই গোললাইনের সামনে থাকা কুচকা ক্লিয়ারের চেষ্টায় বল জড়ান নিজেদের জালে। সে গোলে ইউরোর ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোন ম্যাচে পাঁচ গোলের দেখা পেয়েছে স্প্যানিশরা।
পাঁচ গোলের ব্যবধানেই শেষমেশ খেলা শেষের বাঁশি বেজেছে। এর চেয়ে বেশি ব্যবধানে ইউরোতে আর কেউ জেতেনি আগে। ইউরোর ইতিহাসে স্পেন বাদে একমাত্র সুইডেন ২০০৪ সালে বুলগেরিয়াকে পাঁচ গোলের ব্যবধানে হারাতে পেরেছিলো। সেই সুইডেন ৩-২ গোলে পোল্যান্ডকে হারিয়ে শীর্ষস্থানে থেকেই এবারের ইউরোতে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে। আর দ্বিতীয় স্থানে থেকে স্পেন যাচ্ছে শেষ ষোলোতে। জয়বিহীন প্রথম দুই ম্যাচ কাটিয়ে স্পেন শেষ ম্যাচে এসে ইতিহাস গড়েই জানান দিয়েছে তাদের হিসাবের বাইরে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না সহজেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।