Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জামালের কাছে বড় হার মোহামেডানের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল সকালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে শেখ জামাল ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয়। ম্যাচে শেখ জামালের বোলার ইবাদত হোসেন চৌধুরি ও জিয়াউর রহমানের বোলিং গড়ে দেয় যে ভিত, তা কাজে লাগিয়ে সোহান-তানবীরের জুটি দলটিকে পৌঁছে দেয় জয়ের বন্দরে। সুপার লিগে এটা শেখ জামালের তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয়, অন্যদিকে সমান ম্যাচের সবগুলোতেই হারলো মোহামেডান। টস জিতে শেখ জামাল প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় মোহামেডানকে। ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের ব্যাটসম্যানরা ইবাদত ও জিয়ার বিধ্বংসি বোলিংয়ের মুখে পড়েন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় মোহামেডান। এ স্কোর তুলতে তাদের খরচ করতে হয়েছে ৯টি উইকেট।
ম্যাচের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় মোহামেডান। ইবাদতের করা বল ভেতরে ঢুকলেমাত্য ১ রান তুলে এলবিডবিøউ হন আব্দুল মজিদ। তিনে নেমে ইরফান শুক্কুর তিন চার মারলেও সিঙ্গেল বের করতে পারছিলেন না। ১৮ বলে ১৭ করে তিনি বিদায় নেন জিয়াকে মারতে গিয়ে। পারভেজ হোসেন ইমন ব্যাটিংয়ে এসে শুরুটা করেন একটু ধীরে। নাসিরকে ওয়াইড লং অন দিয়ে ছক্কার পরও পাওয়ার প্লে শেষে তার রান ছিল ১৩ বলে ১২। পরে আশরাফুলের বলে লং অন ও লং অফ দিয়ে দারুণ দুটি ছয় মারেন তিনি। শামসুর রহমানের সঙ্গে পারভেজের জুটিতে মোহামেডান বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। ১২ ওভার শেষে মোহামেডানের রান ছিল ২ উইকেটে ৮৪। তবে দলটির ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন শুরু হয় পারভেজের বিদায়ের পরে। মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরের বল ¯øগ করতে গিয়ে আউট হন পারভেজ।
তার বিদায়ের পর শামসুর খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও আরেকপ্রান্তে মাহমুদুল হাসান থাকেন ঝিমিয়ে। তাতেই গতি হারায় ইনিংস। মাহমুদুল আউট হন ১২ বলে ৩ রান করে। এরপর ইনিংসের গতি ফেরাতে পারেননি বাকি ব্যাটসম্যানরাও। শামসুর রহমান বিদায় নেন ৪০ বলে ৪৯ রান করে, চলতি লিগে এটা তার সর্বোচ্চ স্কোর। শেষ ৬ ওভারে মোহামেডান হারায় মাত্র ৩১ রানে ৬ উইকেট। শেখ জামালের ইবাদত ও জিয়া নেয় তিনটি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেখ জামাল জিতে যায় এক ওভার হাতে রখেই। সোহান ও তানবীর গড়েন অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটি। ৩১ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। ১৭ বলে হার না মানা ৩২ রান তানবীর। শেখ জামালের রান তাড়ার শুরুটা ছিল বাজে। প্রথম ওভারে আবু জায়েদের লেংথ বল ¯øগ করে শূন্য রানে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন সৈকত আলি। দ্বিতীয় উইকেটে আশরাফুল ও ইমরুল কায়েসের জুটি সামাল দেয় শুরুর ধাক্কা। দুজনে যোগ করেন ৫৫ রান। ২১ বলে ২৫ রান করে ইমরুল আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
আশরাফুলের শুরুটা আশা জাগানিয়া থাকলেও ক্রমেই চুপসে যান তিনি। অবিশ্বাস্যভাবে ইনিংসের দশম ওভারে মেডেন দেন আসিফ হাসানকে। পরে আসিফের বলেই এলবিডবিøউ হন ৪২ বলে ৩৮ রান করে। শেষ ৬ ওভারে শেখ জামালের প্রয়োজন পড়ে ৫০ রান। খানিকটা কঠিন হয়ে পড়া সেই সমীকরণ মেলান সোহান ও তানবীর।
একই মাঠে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২ উইকেটে হারায় গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্সকে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোহামেডান

৯ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ