নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০০৮ থেকে ২০১২- বিশ্ব শাসন করেছিল স্পেন। টানা দুইবার ইউরো শিরোপা, মাঝে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কী দারুণ সময়টা কেটেছিল লা রোজাদের। চার বছরের এই দাপট এখন আর নেই। নতুন চেহারার স্পেন ছন্দে ফিরতে গিয়ে খাচ্ছে হিমশিম। এই ইউরোতে দুই ম্যাচ খেলে নেই একটিও জয়, ২০০৪ সালের মতো গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় তারা। এমনকি ঘরের মাঠে খেলেও সুবিধা করতে পারছে না তারা। কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় স্লোভাকিয়াকে স্বাগত জানাবে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
‘ই’ গ্রুপ থেকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সুইডেন নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলো। চারটি সেরা তৃতীয় দলের একটি হয়ে তাদের নকআউটে খেলা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা সেন্ট পিটার্সবার্গে মুখোমুখি হবে পোল্যান্ডের। আশার কথা হচ্ছে, সুইডেনের সঙ্গী হয়ে নকআউটে খেলার সুযোগ রয়েছে তিন দলেরই। তাই এই গ্রুপের শেষ ম্যাচ হাতে যাচ্ছে স্পেন, স্লোভাকিয়া ও পোল্যান্ডের জন্য বাঁচা-মরার।
দুই ম্যাচই ড্র করে ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে স্পেন। গত আসরে শেষ ষোলোতে বিদায় নেওয়া দলটির উপরে স্লোভাকিয়া, ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ তাদের। মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে পোলিশরা। নকআউটের টিকিট পেতে স্প্যানিশদের বিপক্ষে স্লোভাকিয়ার দরকার এক পয়েন্ট। অন্যদিকে জয়ের বিকল্প নেই এনরিকের দলের সামনে। অবশ্য ড্র করলেও আশা থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে সুইডেনের হারা চলবে না পোল্যান্ডের কাছে। খেলা ড্র হলে ইউরোতে পর্তুগালের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে গ্রুপের তিন ম্যাচই ড্রয়ের স্বাদ পাবে স্পেন। ২০১৬ সালে গ্রুপের সব ম্যাচ ড্র করা পর্তুগিজরা হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন।
জয়ের মানসিকতা নিয়ে খেলবে দল, জানালেন স্পেন ডিফেন্ডার সিজার আজপিলিকুয়েতা, ‘এটা বাঁচা-মরার ম্যাচ, আমরা গ্রুপের বাধা পেরোবো এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে হবে যা আমাদের আছে। আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আমাদের সঠিক মানসিকতা আছে।’
স্পেনের জন্য সুখবর, অধিনায়ক সার্জিও বুশকেটস করোনামুক্ত হয়ে দলে ফিরেছেন। তার দলে ফেরা সবাইকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলেছে। তাছাড়া পরিসংখ্যানও তাদের পক্ষে। ছয়বারের দেখায় স্লোভাকদের কাছে কেবল একবার হেরেছে স্পেন, ২০১৪ সালের অক্টোবরে ইউরো বাছাইয়ে। জয় চারটি আর ড্র একটি। বড় টুর্নামেন্টে এটাই তাদের প্রথম মুখোমুখি লড়াই। আর ঘরের মাঠে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে আগের তিন ম্যাচের সবগুলো জিতেছে স্পেন, গোল ১১টি আর খেয়েছে দুটি।
সুইডেনের বিপক্ষে জিতলেই কেবল শেষ ষোলোতে পৌঁছাবে পোল্যান্ড। অন্য যে কোনও ফল ইতি টানবে তাদের ইউরো অভিযানে। আর সুইডেন জিতলে হবে গ্রুপ সেরা। আর যদি তারা হোঁচট খায় তাহলে স্লোভাকিয়া কিংবা স্পেন জায়গা করে নেবে শীর্ষে।
পরিসংখ্যান সুইডিশদের পক্ষে। শেষ ১১ বারের দেখায় তারা পোল্যান্ডকে হারিয়েছে ৯ বার, শেষ পাঁচটিই জিতেছে তারা। পোলিশরা শেষবার জিতেছিল ১৯৯১ সালের আগস্টে প্রীতি ম্যাচে। বড় টুর্নামেন্টে দুই দলের একমাত্র ম্যাচ হয়েছে ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে, ১-০ গোলে জিতেছিল পোল্যান্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।