পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার শুক্রাবাদ এলাকায় আবু বক্কর সিদ্দিক রুবেল (৩৫) নামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্ত্রীর দাবি, সাব কন্ট্রাক্টে নেওয়া সিটি করপোরেশনের ময়লার লাইন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতা ছিনিয়ে নেওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
জানা গেছে, কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রুবেলকে গতকাল দুপুর ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্ত্রী। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের স্ত্রী লাবনী আক্তার বলেন, আমার স্বামী ১৭ নং ওয়ার্ডে সাব কন্ট্রাক্টে সিটি করপোরেশনের ময়লার লাইন পরিচালনা করতেন। গত ৯ জুন আমার স্বামীর কাছ থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতা লাইনটি ছিনিয়ে নেয়। যদিও আমাদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি ছিল। আমার স্বামী তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় লাইনটি নিয়েছিলেন। লাইন ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকেই তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময় মাথার চুল একা একাই ছিঁড়তেন। গতকাল সকালে তিনি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মাত্র ১০ মাস আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। এখনও বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়নি।
মৃতের ছোট ভাই ওসমান গনি বলেন, আমার ভাই কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সিটি করপোরেশনের ময়লার টেন্ডার পেয়ে কাজ করতেন। শিশির, সজীব ও শিমুল ময়লার লাইন ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার ভাইকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়েছিল। পরে গত ৯ জুন তারা ভাইয়ের লাইনটি নিয়ে নেয়। এরপর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়া আমার ভাইয়ের বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ ছিল। এসব নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই শেরেবাংলা নগর থানার শুক্রাবাদ ৬২/১ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। ১০ মাস আগে ভাই বিয়ে করেছিলেন তিনি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই আব্দুল্লাহ খান বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক রুবেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরপরই চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
শেরেবাংলা থানার এসআই আল-মামুন বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক রুবেল ১৭ নং ওয়ার্ডে সাব-কন্ট্রাক্টে ময়লার একটি লাইন পরিচালনা করতেন। ওই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সজীব ও সাধারণ সম্পাদক শিশির দুয়ারী এবং কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল তার লাইনটি নিয়ে নেয়। এ নিয়ে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।