প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ট্রোল, সমালোচনা নতুন কোনো বিষয় নয় অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরাত জাহানের কাছে। বিভিন্ন কারণে ইতিপূর্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা বাস্তব জগতে নিন্দা সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাকে। সাংসদ হয়ে ফ্যাশন ফটোশুটের জন্য বা মুসলিম হয়ে একজন হিন্দুকে বিয়ে করে সিঁদুর পরার জন্য, বহুবার তাকে উদ্দেশ্য করে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষের তীর। আর বর্তমান সময়ে মা হওয়ার গুঞ্জনের জন্যও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে নুসরাতকে।
তবে কোনো বিতর্ক, ট্রোলকেই তেমন পাত্তা দেন না অভিনেত্রী। তার সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে সেটাই আরো স্পষ্ট হয়েছে। নুসরাতের বেবি বাম্পের ছবি আগেই ভাইরাল হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের দৌলতে। এতদিন রাখঢাক করলেও এবার আর কোনও রাখঢাক না রেখে, নিজের বেবি বাম্পের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিলেন নুসরাত জাহান।
নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। নীল ডেনিম প্যান্ট ও সাদা ফুল স্লিভ সোয়েটার পরেছেন নুসরাত। গায়ে জড়িয়েছেন একটি গোলাপি প্রিন্টের শাল। শালটি এমন ভাবে জড়িয়েছেন যাতে বেবি বাম্প ঢাকা পড়ে। তবে তা সত্ত্বেও যথেষ্ট ভাল বোঝা যাচ্ছে নুসরাতের সন্তানসম্ভবা হওয়ার চিহ্ন। মুখে প্রাণখোলা হাসি নিয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন নুসরাত। ক্যাপশনটিও যথেট অর্থবহ।
এই পোস্টের ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘উদারতা সবকিছু বদলে দেয়’। তাহলে কি শেষমেশ নিজের নতুন রূপকে প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন নুসরাত? ক্যাপশন দেখে তেমনটাই মনে করছেন নেটিজেনরা। এর আগেও সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতে নুসরাত লিখেছিলেন, ‘তুমি নিজের মতো করে ফুটে উঠবে’।
প্রসঙ্গত, ২০১৯এ লোকসভা নির্বাচনে জিতেই তুরস্কে রাজকীয় ‘বিয়ে’ সারেন নুসরাত ও নিখিল জৈন। যদিও এখন সেই ‘বিয়ে’ অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রী। তিনি দাবি করেছেন ওই বিয়ে অবৈধ ছিল। অর্থাৎ এতদিন তাঁরা শুধুই লিভ ইন করেছেন। গত বছর পূজার পর থেকেই যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরাতের সম্পর্কের গুঞ্জন প্রবল হতে থাকে। শোনা যায়, ‘SOS Kolkata’ ছবির শুটিংয়ের সময়েই একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। অতি সম্প্রতি নুসরাতের সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে অভিনেত্রীর বেবি বাম্পের ছবিও। যদিও নুসরাতের ভাবী সন্তানের বাবা কে তা এখনো জানা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।