পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যানজট নিরসনে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে বিশেষায়িত উড়াল সড়ক। দ্রুত গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করার এ প্রকল্পের নাম বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। ৯ বছর ধরে চলছে এর নির্মাণকাজ। যন্ত্রণা কমানোর প্রকল্পটির নির্মাণকাজে দায়িত্বহীনতা এখন মানুষের দুর্ভোগ-যন্ত্রণা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্ষার শুরুতেই সেই যন্ত্রণা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আগে থেকেই সড়কে খানাখন্দ ছিল, এখন তা আরও বেড়েছে। বৃষ্টি হলেই সড়ক ডুবছে। ১২ কিলোমিটার পথ যেতে লাগছে ১০ ঘণ্টা। সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক গতকাল শনিবার মহাসড়কটি পরিদর্শন করেছেন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংকটে থাকার কারণে বিআরটি প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে। যে কারণে মহাসড়কে চলাচলরতদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দুপুরে মহাসড়কের চেরাগআলী এলাকায় খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক পরিদর্শন করে এমন দাবি করেন সেতু বিভাগের সচিব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় লোকবল বাড়ানো হবে। এ বিষয়ে ঠিকাদারদের বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর সড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামও মহাসড়ক পরিদর্শন করেন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বৃষ্টি আর বিআরটি প্রকল্পের খামখেয়ালী কাজের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পোহাচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর বিআরটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করতে যান সড়ক ও সেতু বিভাগের দুই সচিব। এসময় তাদের সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), সেতু কর্তৃপক্ষ আর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলে বিআরটি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের সময় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ব্যয়ও বেড়েছে দ্বিগুণ। ৯ বছরে কাজ হয়েছে অর্ধেক। বাকি কাজ এক বছরে (আগামী জুন) শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বিআরটি বাস্তবায়নের করুণ দশা এবং তাতে চরম জনদুর্ভোগ তৈরি হওয়ায় মন্ত্রী ও সচিব বিব্রত। ধীরগতির কাজ ও ভোগান্তির জন্য চীনা ঠিকাদারদের দায়ী করছেন কর্মকর্তারা। তারা বলেন, বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্ভোগ এড়াতে নির্মাণ এলাকার রাস্তা নিয়মিত মেরামতের মাধ্যমে সচল রাখার কাজ করেনি। আগে থেকেই অবস্থা খারাপ ছিল। বর্ষায় পরিস্থিতি অসহনীয় হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল একই অভিযোগ করেছেন। সড়কের ভোগান্তি এড়াতে জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন চালু করা হচ্ছে বলে তিনি গত বুধবার জানান। আজ থেকে এই ট্রেন চালু হওয়ার কথা।
প্রকল্প সংশ্নিষ্টরা জানান, জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে ১২ কিলোমিটার করে মোট ২৪ কিলোমিটার ‹হাই ক্যাপাসিটি ড্রেন› নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে শতকোটি টাকা। সড়ক পরিবহন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত ড্রেনের নির্মাণকাজ ৯৭ ভাগ শেষ। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও পানি নিস্কাশনের ক্ষমতা থাকার কথা ড্রেনটির। কিন্তু গত ১ জুন মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে সেখানে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে মোগরখাল, হায়দারাবাদ খাল, কামারজুড়ি খাল হয়ে তুরাগ নদীতে মেশার কথা; কিন্তু বাস্তবে মহাসড়কে হাঁটুপানি জমে যাচ্ছে। নতুন নির্মিত ড্রেনকে ত্রুটিপূর্ণ বলছেন গাজীপুর সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, যতটা গভীর গর্তে পাইপ স্থাপন উচিত ছিল, তা হয়নি। পাইপের ব্যাসও মাত্র সাড়ে তিন ফুট। এই ব্যাসের পাইপ দিয়ে এত পানি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে পানি উপচে সড়কে চলে আসছে। ভুল নকশায় হাই ক্যাপাসিটি ড্রেন নির্মাণ করে ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তারা টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিআরটির সওজ অংশের প্রকল্প পরিচালক এএসএম ইলিয়াস শাহ দাবি করেছেন, শুধু ১ জুনই পানিবদ্ধতা হয়েছিল। ওই দিন পানি জমার কারণ ছিল, সড়ক থেকে ড্রেনে পানি নামতে ম্যানহোল ঢাকনার মতো যে ‹গ্যাসকিট› ছিল, সেগুলো ময়লায় পূর্ণ ছিল। তাই পানি নামতে পারেনি। এখন আর পানি জমছে না। সড়কে খানাখন্দ রয়েছে। সেগুলো নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগে ঠিক করা কঠিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।