মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৪ সালে ভারতে ক্ষমতায় আসার আগে কালো টাকার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। দাবি করেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদেশে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকা ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বিদেশ থেকে টাকা ফেরা তো দূরের কথা, সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস ব্যাংকের বার্ষিক হিসেব বলছে ২০২০ সালে শুধু ভারতীয়দের জমা আমানতের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যা কিনা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০১৮ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার অঙ্ক ছিল ১২ হাজর ৬১৫ কোটি টাকা। যা একধাক্কায় অনেকটা কমে যায় ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৮৯৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। ভারতীয় মুদ্রায় ৬ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২০ সালে একলাফে এই আমানতের পরিমাণ এতটা বাড়ল।
তবে এই যে জমার হিসেব বলা হচ্ছে এটা সরকারি হিসেবে। এর বাইরেও ডামি অ্যাকাউন্ট বা ডামি সংস্থার মাধ্যমে অনৈতিকভাবে বহু ভারতীয় সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন। আবার এদের বাইরে প্রবাসী ভারতীয়রা বৈধ ভাবেও সেখানে টাকা রাখেন। সুতরাং এই হিসেব দেখে কালো টাকার পরিমাণ জানা অসম্ভব।
উল্লেখ্য, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের টাকা নিয়ে মনমোহন সিং সরকারকে খোঁচা দিতেন নরেন্দ্র মোদি। বারবার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে সুইজারল্যান্ডে জমা কালো টাকা দেশে ফেরত আনারও। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদি বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে তিন বছরে বিদেশে গচ্ছিত সব কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে গরিবদের মধ্যে বিলি করে দেবেন। সে ক্ষেত্রে গরিবদের মাথাপিছু দেওয়া সম্ভব ১৫ লাখ রুপি। যদিও পরে বিজেপিরই একাধিক প্রথম সারির নেতা বলেছিলেন, মোদির ওই প্রতিশ্রুতি ছিল ‘নির্বাচনী চমক’!
মোদির অভিযোগ ছিল, ইউপিএ-সরকারের বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরানোর সাহস নেই। কারণ কংগ্রেসের লোকেরাই এই পাপে ডুবে আছে। পুরোনো সেই কথা মনে করিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা শুক্রবার প্রশ্ন ছুড়েছেন, “তিন বছরের বদলে সাত বছর কেটে গেছে। মোদিজির কি ইচ্ছাশক্তি নেই? নাকি ওই সব টাকা তার বন্ধুদের?” সূত্র : দেশ-বিদেশ.কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।