নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলছে ইতালি। ২৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছিল তারা। মহাদেশীয় এ আসরেও চলছে তাদের স্বপ্ন যাত্রা। গতপরশু আজ্জুরিরা সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেছিল ‘জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ড’- এই সমীকরণ নিয়ে। সেই সুযোগ হারানোর কোনো কারণ দেয়নি আজ্জুরিরা। সুইসদের হেসেখেলেই হারিয়েছে তারা। স্তাদিও অলিম্পিকোতে ৩-০ গোলে পাওয়া জয়ে জোড়া গোল করেছেন সসুলোর মিডফিল্ডার মানুয়েল লোকাতেল্লি, অপরটি লাৎসিওর স্ট্রাইকার চিরো ইম্মোবিলের। আর তাতেই নিশ্চিত হয়েছে এক ম্যাচ হাতে রেখে এবারের ইউরোর প্রথম দল হিসেবে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের শেষ ষোলতে যাওয়া। এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষেও একই ব্যবধানে জিতেছিল দলটি। এর আগে ইউরোয় কখনোই এক ম্যাচে তিন গোল করার অভিজ্ঞতা ছিল না দলটির। সেখানে এবার পাঁচ দিনের মধ্যে দুবার তাই করে দেখাল তারা।
রাশিয়া বিশ্বকাপে উঠতে ব্যর্থ হওয়ার ছয় মাস পর রবের্তো মানচিনিকে দায়িত্ব দিয়েছিল ইতালি। যার হাত ধরে আজ অজেয় হয়ে উঠেছে দলটি। এ নিয়ে টানা ১০ ম্যাচে কোনো গোল হজম করল না ইতালি। সময়ের হিসেবে ৯৬৫ মিনিট। ২০১৮ সালে নেশন্স লিগের ম্যাচে পর্তুগালের কাছে হারের পর এ নিয়ে টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত তারা। আর ইতালিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সব শেষ ৫৮ ম্যাচে অপরাজিত দলটি। এরমধ্যে ৪৫টি জয় ও ১৩টি ড্র। সবশেষ ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইউরোর বাছাই পর্বের ম্যাচে ডেনমার্কের কাছে হেরেছিল আজ্জুরিরা।
ইতালির আক্রমণভাগে নেই কোনো বড় মাপের তারকা। একই রকম চেহারা মাঝমাঠেরও। রক্ষণে অবশ্য আছে দুই অভিজ্ঞ জর্জো কিয়েল্লিনি ও লিওনার্দো বোনুচ্চি। তবে, একক নৈপুণ্যে বিশ্বসেরাদের কাতারে বিবেচিত হতে পারে এমন কোনো নাম নেই স্কোয়াডে। তারপরও তারা এতটা সফল ও ধারাবাহিক কীভাবে?-মূল কারিগর কোচ মানচিনি। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মিশেলে গড়া তার দলের প্রতিটি পজিশনে আছে সঠিক খেলোয়াড়। আর তাদের সেরাটা বের করে আনতে কার্যকর কৌশল। কক্ষপথ ধরে এখন শুধুই সামনে এগিয়ে চলার চ্যালেঞ্জ, লক্ষ্য একটাই- শিরোপা।
গ্রুপের অপর ম্যাচে তুরস্ককে হারিয়ে শেষ ষোলোর পথে এগিয়েছে ওয়েলসও। পেনাল্টি মিসের আগে-পরে সতীর্থের গোলে অবদান রাখলেন সেরা তারকা গ্যারেথ বেল। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ইউরোর এবারের আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তার দল। উজ্জ্বল করল পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা। আজারবাইজানের বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে ওয়েলস। অ্যারন রামসির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান কনর রবার্টস। এর বাইরেও স্বস্তির খবর হচ্ছে, চার দশক পর তুরস্কের বিপক্ষে জয় পেল ওয়েলস। এর আগে সবশেষ ১৯৮১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। মাঝে দুইবারের দেখায় একটিতে হেরেছিল, ড্র করেছিল অন্যটি।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে আগামী রোববার এই ওয়েলসের মুখোমুখি হবে উড়তে থাকা ইতালি। একই সময়ে আরেক ম্যাচে লড়বে সুইজারল্যান্ড ও তুরস্ক। আসরে প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ওয়েলস। তুরস্ক হারল দুই ম্যাচেই; আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ইতালির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা।
এদিকে, একই রাতে সেন্ট পিটার্সবার্গে ‘বি’ গ্রুপের একমাত্র ম্যাচে ফিনল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে রাশিয়া। বিরতির ঠিক আগে স্বাগতিকদের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন আলেকসি মিরানচুক। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ফিনল্যান্ড। ওই ম্যাচ চলাকালীন সময়েই ঘটেছিল ডেনিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের হৃদরোগে আক্রান্তের ঘটনা। রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে ‘সুস্থ হয়ে ওঠো ক্রিস্তিয়ান’ লেখা বিশেষ টি-শার্ট পরে ওয়ার্ম-আপ করে ফিনল্যান্ড। একটি করে জয়ে গ্রুপের তিন দলের পয়েন্ট সমান ৩ করে। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে শীর্ষে বেলজিয়াম, দুইয়ে রাশিয়া, তিনে ফিনল্যান্ড। আগামী সোমবার রাশিয়ার প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। একই সময়ে বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলবে ফিনল্যান্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।