Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিরোজপুরে ইউপি নির্বাচনে চাপের মুখে নৌকার প্রার্থীরা !

বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান আওয়ামীলীগের অনেকের

পিরোজপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২১, ২:৫৬ পিএম

সারাদেশের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র পিরোজপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। ২১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুর সদর উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে চাপের মুখে পরেছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। দলীয় বিদ্রোহীদের চাপে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। নৌকার প্রতীকের প্রার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের এক পক্ষ সরাসরি এসব বিদ্রোহীদের পক্ষে মাঠে নেমেছে। এমনকি প্রশাসনিক সহোযোগীতা পাচ্ছে নৌকা বিরোধী এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা। সদর উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলায়ও রয়েছে এমন অভিযোগ।

জানা যায়, ২১ জুন পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৪টি টোনা, কদমতলা, শরিকতলা ও কলাখালী ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। টোনা ইউনিয়নে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমরান আলম খান হারুন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। এ ইউনিয়নে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন এমডি সোবাহান খান ও আনোয়ার হোসেন। এ দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কদমতলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হানিফ খান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। প্রতিপক্ষ শেখ শিহাব হোসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা। শারিকতলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আজমির হোসেন মাঝির প্রতিপক্ষ মিরাজুর রহমান রাজু মোল্লা। এছাড়া নাজিরপুর উপজেলায় সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন খান। নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিপক্ষ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস।

নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ আওয়ামী লীগের এক পক্ষ এবারের নির্বাচনে বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের অনুসারী স্থানীয় যুবলীগ, স্বেচ্ছসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও বিদ্রোহীদের পক্ষে কাজ করছে। ফলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে এর নেতিবাচক প্রভাব পরছে। এসব বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রন করতে না পারায় সুবিধা পাবে জামায়াত ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। টোনা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইমরান আলম খান হারুন জানান, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেন। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গ্রæপিং এ কখনো সক্রিয় নন এবং দলীয় সব পক্ষের কর্মসূচিতেই অংশগ্রহন করেন বলে দাবি করেন। এসব কারণে কোন পক্ষই আমার নির্বাচন নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নয়। আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে যারা নির্বাচন করছেন, তাদেরকে নানাভাবে অনেকে সহায়তা করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দলের মধ্যে কোন্দলের কারনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী সুবিধা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, টোনা ইউনিয়নে জামায়াতের একজন শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে। জেলার জামায়াতের নেতাকর্মীরা চাঁদা তুলে প্রকাশ্যেই ভোটারদের মাঝে তারা টাকা বিলাচ্ছে। এ বিষয়ে সদর থানায় বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইননি বলে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার জানান, জেলা আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সাথে আছে। তবে বিদ্রোহীদের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কোন প্রকার সহায়তা করছে না। দলীয় পদধারী যে সকল নেতারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামীকাল জেলা আওয়ামী লীগের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ জা মো মাসুদুজ্জামকে ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ