নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ প্রফেশনাল বক্সিং সোসাইটির (বিপিবিএস) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মাদ আদনান হারুন বলেছেন, ‘আমৃত্যু বক্সিংয়ের সঙ্গেই থাকবো’। বাংলাদেশ বক্সিং লিগকে (বিবিএল) সামনে রেখে সোমবার দুপুরে কো+ল্যাব, বারিধারা ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিপিবিএসের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ উপদেষ্টা এম ডি আনিসুজ্জামান, লিগে অংশগ্রহণকারী দল মাহির হারুন টাইগার্সের ওনার মাহির হারুন এবং টাইগার ক্লান ওয়ারিয়র্সের ওনার সাদমান সাকিব।
বিপিবিএসের ব্যবস্থাপনায় আগামী ১ জুলাই প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে বিবিএলের খেলা। ধানমন্ডিস্থ আবাহনী ক্লাব মাঠে ৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই লিগের খেলা। এতে অংশ নিচ্ছে ৮টি দল। এরা হলো- এন জেড আর বক্সিং ক্লাব, আদনান হারুন ফাইট ক্লাব, মাহির হারুন টাইগার্স, আদম হক ওয়ারিয়র্স, টাইগার ক্লান ওয়ারিয়র্স, শাহ স্পোর্টস, টিম জি এবং টিম এইচ।
আসরে ১০টি পুরুষ ও দু’টি নারীসহ মোট ১২টি ওজন শ্রেণিতে খেলা হবে। স্বর্ণপদক জয়ী বক্সারদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থ পুরষ্কার দেয়া হবে। রৌপ্যজয়ীরা পাবেন ৩ হাজার এবং ব্রোঞ্জপদক জয়ীদের দেয়া হবে ১ হাজার টাকা করে। চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফির সঙ্গে ২ লাখ এবং রানার্সআপ দলকে ট্রফি ও ১ লাখ টাকা অর্থ পুরষ্কার দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনেই বিপিএসের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আদনান হারুনকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার দেন সংগঠনের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। পরে নিজ বক্তব্যে আদনান হারুন বলেন, ‘মূলত খেলাধুলার প্রতি ভালবাসা থাকার কারণেই আমি বক্সিংয়ে জড়িত হয়েছি। আমি নিজে পেশাদার বক্সার না হলেও পেশাদার শরীরগঠনবিদ। তারপরও বক্সিংয়ের প্রতি আমার আলাদা দুর্বলতা রয়েছে। তাই এ খেলাটিকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। একমাত্র মৃত্যুই আমাকে এই খেলা থেকে সরাতে পারবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনের পর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত দুই ক্রীড়া ফেডারেশনের প্রথমটি ফুটবল হলেও পরেরটি বক্সিং। এতেই প্রমাণ করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কতটা ভালবাসা ছিল বক্সিংয়ের প্রতি। আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও খেলাধুলাকে প্রচন্ড ভালবাসেন। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও সহযোগিতায় দেশের খেলাধুলা এগিয়ে যাচ্ছে। যার প্রমাণ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান। আমরা আশাকরি প্রধানমন্ত্রী বক্সিংয়ের প্রতিও বিশেষ নজর দিবেন। যদিও এরই মধ্যে বিপিবিএস প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারী সহযোগিতা পেয়েছি। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং দুই নগরপিতাকে ধন্যবাদ জানাই। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা যদি বক্সিংয়ের উন্নয়নে এগিয়ে আসেন তাহলে আমরা আগামী দুই বছরের মধ্যে এশিয়ার সেরা বক্সার খুঁজে বের করতে পারবো ইানশাআল্লাহ।’
বিপিবিএসের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি বলেতে চাই তিনি ফুটবল, ক্রিকেট, বক্সিংসহ সব খেলাকে ভালবাসেন এবং সহযোগিতা করে থাকেন। উনার আগ্রহ এবং সহযোগিতায় বিশ্বে বাংলাদেশের খেলাধুলা এগিয়ে যাচ্ছে। বক্সিং প্রাচীন খেলা হলেও এর জনপ্রিয়তা বর্তমানে বাংলাদেশ অনেকটাই কম। দেশে খেলাটির জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে, যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতেই বক্সিং নিয়ে কাজ শুরু করেছি আমি। দীর্ঘ ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশের বক্সিংয়ের সেবার করে যাবো। এ ধারাবাহিকতায় পেশাদার বক্সিং লিগ বিবিএল আয়োজন করতে যাচ্ছি আমরা। এই লিগ থেকে প্রতিভাবান বক্সার বাছাই করে তাদের সেরা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো।’ লিগে অংশগ্রহণকারী দল মাহির হারুন টাইগার্সের ওনার মাহির হারুন বলেন, ‘বক্সিংয়ের প্রতি গভীর ভালবাসা থাকার কারণেই আমি এই লিগে দল নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি ক্রিকেটের মতো বক্সিং থেকেও আন্তর্জাতিক সুনাম অর্জন করা সম্ভব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।