Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোর বর্ণিল উদ্বোধন, বড় জয়ে শুরু ইতালির

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছে ইউরো ফুটবলের। বড় জয়ে মিশন শুরু করেছে ইতালি। গতপরশু রাতে রোমে তুরস্ককে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছে আজ্জুরিরা। পুরো ম্যাচে ইতালির ছিল প্রাধান্য। ন্যুনতম ভয় ধরাতে পারেনি তুরস্ক। তারপরও আক্রমণে চালালেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি ইতালি। গোলের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয়াধপযন্ত।
প্রথম গোলটি প্রতিপক্ষের উপহার। ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান তুরস্কের মেরিহ ডেমিরাল। ৬৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইমোবিল। এর তিনি মিনিট পর ইতালির স্কোর ৩-০ করে জয় সুনিশ্চিত করেন লরেঞ্জো ইনসাইন। এ নিয়ে রবার্তো মানিচিনির দল টানা ২৮টি ম্যাচে অপরাজিত থাকলো।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য ধরে রাখে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি। বল দখলের লড়ায়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল তারা। ৬৪ শতাংশ বল ইতালির পায়ে ছিল। প্রথমার্ধেই গোলমুখে ১৪টা শট নেয় ইতালি, এর মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে। প্রথমার্ধে তুরস্ক কোনো শটই নেয়নি লক্ষ্যে।
সব মিলিয়ে গোলমুখে ইতালি ২৪টি শট নিয়েছে, এর মধ্যে ৮টি শট ছিল লক্ষ্যে। আর দুটি খুঁজে পায় তুরস্কোর জাল। তুরষ্ক সেভাবে আক্রমণই সাজাতে পারেনি। ইতালির আক্রমণ সাজাতেই তাদেরকে ব্যস্ত থাকতে হয়। পুরো ম্যাচে গোলমুখে মাত্র ৩টি শট নেয় দলটি, এর মধ্যে একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই আক্রমণ সাজাতে শুরু করে ইতালি। অবিরত আক্রমণে তুরস্কের রক্ষণভাগকে দিশেহারা করে তোলে তারা। ২১তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন রিচো ইমোবিলে। ইতালির এই স্ট্রাইকারের নেওয়া শট তুরস্কের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের হাতে লাগলেও রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি।
২২তম মিনিটে কর্নারে দারুণ একটি হেড নেন জর্জো কিয়েলিনি। ইতালির অধিনায়কের নেওয়া হেড জালে জড়িয়ে যাওয়ার ঠিক আগ মুহ‚র্তে ফেরান তুরস্কের গোলরক্ষক উগুরকান সাকির। লাফিয়ে উঠে কর্নারের বিনিময়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন তিনি। প্রথমার্ধে আরও কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি ইতালি।
৫৩তম মিনিটে গিয়ে প্রথম গোলের দেখা পায় দলটি। যদিও এ যাত্রাতেও তারা তুরস্কের জালের ঠিকানা পায়নি। ইতালির ফরোয়ার্ড ডমনিকো বেরার্দির ক্রস থেকে দলকে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন তুরস্কের সেন্টার ব্যাক মিরহ ডেমিরাল।
৬৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইতালি। লেনান্দ্রো স্পিনাজোলার শট তুরস্কের গোলরক্ষক উগুরকান সাকির ফেরালেও দলকে বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতে বলে শট নিয়ে বল জালে জড়ান ইমোবিলে। ৭৯তম মিনিট স্কোরলাইন ৩-০ করে ইতালি। ইনসিনিয়ে সহজেই জালের ঠিকানা করে নেন।
এরআগে ম্যাচের আগে রিমোর্ট কন্ট্রোল চালিত ছোট্ট একটি গাড়িতে মাঝমাঠে পাঠনো হলো বল। শুরু হলো ফুটবলের বড় এক টুর্নামেন্ট- ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। ছোট্ট কিন্তু প্রাণ প্রাচুর্যে পূর্ণ একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে পর্দা উঠল ইউরো ২০২০-এর।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যে কোনো ছোট আয়োজনও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সেখানে এবারের আসরের খেলা হবে ইউরোপের নানা প্রান্তে। ভবিষ্যৎ গতিপথ কেমন হবে, সময়ই বলে দেবে। তবে শুরুটা হলো উৎসবমুখর পরিবেশে।
মহামারীকালে বিভিন্ন বিধি নিষেধের জন্য স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশাধিকার সীমিত। তবে যারা এসেছেন ইতালি-তুরস্কের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে তাদের মাঝে কমতি নেই কিছুরই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় তারা গলা ফাটিয়ে অংশ হয়ে থেকেছে আলো-ছায়া, রঙ আর গানের বর্ণিল আয়োজনের।
মাঠে ছিল বিশাল সব রঙিন বল। স্টেডিয়ামের ছাদ থেকে নেমে আসেন একেক জন ড্রম বাদক। গানের তালে তালে তোলা হয় চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়া দেশগুলোর পতাকা।
মাঠে আন্দ্রেয়া বোসেল্লি পরিবেশন করেন নেসসুর দরমা, যিনি ১২ বছর বয়সে পুরো অন্ধ হয়ে যান ফুটবলকেন্দ্রীক এক দুর্ঘটনায়। এই গানটি ১৯৯০ ইতালি বিশ্বকাপে গেয়েছিলেন লুসিয়ানো পাভারত্তি। এরপর উয়েফার অফিসিয়াল গান পরিবেশন করেন মার্টিন গ্যারিক্স, বোনো এবং দা এজ। শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা, শুরু হয় মাঠের লড়াই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইতালি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ