পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতে পাচার হওয়ার পর সেখান থেকে পালিয়ে দেশে ফিরে আসা আরো এক তরুণী রাজধানীর হাতিরঝিল মামলা করেছেন। মানবপাচার ও বিদেশে যৌনকর্মে বাধ্য করার অভিযোগে স্বামীসহ পাচারকারী চক্রের নয় জনের নাম উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন ওই তরুণী। অন্যদিকে মানবপাচারকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সাভার এলাকা থেকে মোছা. রেহানা বেগম (২২) নামে ওই মানবপাচারকারীকে গ্রেফতারের সময় এক ভুক্তভোগী নারীকেও উদ্ধার করেছে র্যাব-৪। ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি দেশে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে পাচার করতে যাচ্ছিলো চক্রটি। র্যাব ও পুলিশ সুত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
তেজগাঁও বিভাগের এডিসি হাফিজ আল ফারুক জানান, ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী গত ৩ মে পালিয়ে দেশে ফিরেন। তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম রনি (২৭) তাকে ৪০ হাজার টাকায় পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে তার অভিযোগ।মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ভালো বেতনে চাকরির কথা বলে রনি এ বছরের ৭ জানুয়ারি ওই তরুণীকে ‹নদী ম্যাডামের› পাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দেন। নদী তাকে ভারতের পাচারকারী চক্রের সদস্যদের কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। পরে সীমান্ত পার করে ওই তরুণীকে ভারতের চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চার মাস আটকে রেখে তার ওপর যৌন নির্যাতন করেন চক্রের সদস্যরা। গত ৩ মে তিনি পালিয়ে ফিরতে সক্ষম হন।
তিনি আরো বলেন, তরুণীর স্বামীসহ দেশে অবস্থানকারী মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এর আগে, ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে দেশে পালিয়ে আসা আরেক তরুণী গত ১ জুন রাতে হাতিরঝিল থানায় রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে হৃদয় বাবুসহ (২৬) পাচারকারী চক্রের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৭ মে দেশে ফিরেছেন তিনি। ৩ মে ফিরে আসা তরুণীকে পাচারের সঙ্গেও টিকটক হৃদয়ের যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এডিসি হাফিজ। এক তরুণীকে নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গত ২৭ মে ভারতের পুলিশ হৃদয়সহ আর পাঁচ বাংলাদেশিকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে। পরে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় ৫০ সদস্যের একটি আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সন্ধান পায়। এখন পর্যন্ত, তিন বাংলাদেশি তরুণী ভারত থেকে পালিয়ে দেশে ফিরতে পেরেছেন। এসব ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় মানব পাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয়েছে। পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও র্যাব এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) এএসপি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকার সাভার মডেল থানাধীন বড়দেশী পশ্চিমপাড়ার ১/১ রোডের ৫৫ নম্বর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য মোছা. রেহানা বেগমকে আটক করে। আটক রেহানার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়।
এএসপি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রেহানা জানায়, জাকির হোসেন নামে চক্রের এক সদস্য ভুক্তভোগী নারীকে বিদেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর তারা দু’জন মিলে ওই নারীকে বাড়ির একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এছাড়াও গত চার মাস ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ওই নারীকে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। ভুক্তভোগী ওই নারী শারীরিক সম্পর্ক করতে না চাইলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি সহ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। অভিযানে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য রেহানাকে আটক করা সম্ভব হলেও আসামি জাকির হোসেন পলাকত রয়েছেন। এছাড়াও চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।