Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শুকিয়ে যাচ্ছেন কিম জং উন, প্রমাণ ঘড়িতে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ৪:২৬ পিএম

উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকে ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি নাকি রোগা হয়েছেন, একটি ছবি ঘিরে এমনই চর্চা শুরু হয়েছে। তার হাতের ঘড়ি ঘিরেও চর্চা চলছে।

মাসখানেক লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকার পরে উত্তর কোরিয়ার সর্বেসর্বা কিম জং উনকে ফের সর্বসমক্ষে আসতে দেখা যায় সম্প্রতি। দলের পলিটব্যুরোর বৈঠকে তার বক্তব্য রাখার একটি ছবি গত শনিবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই ছবিই কাটাছেঁড়া করে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম এনকে নিউজের দাবি, কিম রোগা হয়েছেন। তাদের বক্তব্য, একে তো বছরখানেক আগের ছবির পাশে শনিবার প্রকাশিত হওয়া ছবি বসালে তা বোঝা যাচ্ছে। আর রইল প্রমাণ। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, কিম তার প্রিয় বহুমূল্য হাতঘড়িটি কব্জিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি আঁট করে বেঁধেছেন। বছর সাঁইত্রিশের কিম যে আইডব্লিউসি শ্যাফহজেন পোর্তোফিনো ঘড়ি পরেন, বাংলাদেশী মুদ্রায় তার দাম দশ লাখ টাকারও বেশি।

উত্তর কোরিয়ার এই নেতার স্বাস্থ্যের উপরে অবশ্য বিভিন্ন দেশের গুপ্তচরদের নজর বরাবরই রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচরদের বক্তব্য, গত বছর কিমের ওজন ছিল ১৪০ কেজি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গড়ে প্রতি বছর ৬-৭ কেজি ওজন বেড়েছে তার। একে এই বিপুল ওজন। তার উপরে কিম আবার প্রবল ভাবে ধূমপায়ী। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হৃদযন্ত্রের সমস্যা, যা পারিবারিক সূত্রে তিনি পেয়েছেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে হার্ট অ্যাটাকেই মারা গিয়েছিলেন তার বাবা কিম জং-ইল। বর্তমান শাসকও যে শারীরিক ভাবে খুব ফিট নন, এমন দাবি বিভিন্ন সময়ে ভেসে এসেছে।

কিমের যদি সত্যিই ওজন কমে থাকে, অন্তত ছবি থেকে যেমনটা মনে করা হচ্ছে, তা হলে তা কীসের জন্য হলো? এর কোনও সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে মানসিক চাপকে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। কারণ, করোনার জেরে চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্য তলানিতে এসেছে ঠেকেছে। অর্থনৈতিক ভাবে উত্তর কোরিয়া বেশ ভালো ধাক্কা খেয়েছে। দেশে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। তার উপরে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ ছাড়া পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশ্নে উত্তর কোরিয়ার উপরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে চাপানো রয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞা। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশ নিয়ে কিম খানিক চাপেই বলে মনে করা হচ্ছে।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বিপিন নারাঙ্গের বক্তব্য, ‘কিম যদি সুস্থ হওয়ার জন্য ওজন ঝরিয়ে থাকেন, তা হলে নিঃসন্দেহে তার দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তা ইতিবাচক হিসেবেই গণ্য হবে। কিন্তু শরীর খারাপ হলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা আমেরিকার তা নিয়ে আগ্রহ বাড়বেই।’ সেই সঙ্গেই তার বিশ্লেষণ, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতা হস্তান্তরের যা রীতিনীতি, তাতে কিম যদি সত্যিই গুরুতর অসুস্থ হন, তা হলে পর্দার আড়ালে তার উত্তরসূরি বাছাইয়ের কাজটিও শুরু হয়ে যাওয়ার কথা এর মধ্যেই। সেই সময়ে উত্তর কোরিয়ায় যদি কোনও রাজনৈতিক অশান্তি তৈরি হয়, তা অবশ্যই বাকি দুনিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।’ সূত্র: সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উত্তর কোরিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ