বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অনলাইন প্রক্রিয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগ ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে আগামী ১২ জুন মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এই শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন একই বিভাগের চারজন শিক্ষক। পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) চার শিক্ষকের পক্ষে হাই কোর্টে রিট করেন এডভোকেট ড. সৈয়দা নাসরিন। রিট নং- ৫২৯৬।
রিটকারী শিক্ষকেরা হলেন- অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, আবদুস ছাত্তার ও জাকির হোসেন।
রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দর্শন বিভাগে ছয় শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। করোনার সময় যেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে তড়িঘড়ি করে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে এটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন জাবির দর্শন বিভাগের শিক্ষকেরা।
এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করতে এর আগে এ বিষয়ে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরপরও আগামী ১২ জুন অনলাইনে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে রিট করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী। রিটে শিক্ষা সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান, জাবির উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দর্শন বিভাগে ছয়জন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই ছয় পদের বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৫৭ জন প্রার্থী। আগামী শনিবার অনলাইনে তাদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর নিয়োগ বন্ধে লিখিত আবেদন করেন বিভাগটির ৮জন শিক্ষক। লিখিত আবেদনে বলা হয়, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভাগীয় শিক্ষাপর্ষদের সভা আহ্বানের ‘নীতি লঙ্ঘন’ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিভাগের সভাপতি তাঁর ‘পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ’ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিভাগীয় নীতি লঙ্ঘন করেছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘এক বছরের বেশি সময় ধরে সরাসরি ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। নানা কারণে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাইরে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগ শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নয় বরং দুরভিসন্ধিমূলক।’
তবে এই বিষয়ে দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তির আগে বিভাগীয় শিক্ষা পর্ষদে আলোচনা না করলেও বিজ্ঞপ্তির পরে অনুষ্ঠিত সভায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিভাগে গত ১০ বছরে কোন শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। বর্তমানে ৯ জন শিক্ষকের সংকট রয়েছে। কারণ ৫ জন অবসরে, বাকি ৪ জন শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে ক্লাস বণ্টনে সমস্যা হচ্ছে। তাই অতিদ্রুত আমাদের বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া খুবই প্রয়োজন।’
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও রিটের বিবাদীদের একজন রহিমা কানিজ বলেন, ‘আমরা রিটের বিষয়টি শুনেছি। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, এখনও সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।