পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আর ৮দিন পরেই শেষ হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের মেয়াদকাল। এরপর তিনিই আসবেন, নাকি নতুন মুখ পাবে এই আবাসিক বিদ্যাপীঠ তা নিয়েই চলছে নানা আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার ভর্তি পরীক্ষার ৮ কোটি টাকা ভাগাভাগির অভিযোগের তদন্ত করতে ক্যাম্পাসে আসে ইউজিসির ৩ সদস্যের তদন্ত দল।
সরেজমিনে আসা এ তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। অন্য দু’জন হলেন- ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজার রহমান ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দোস্তগীর। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউজিসির তদন্ত কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নুরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি ফরম থেকে মোট আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ কোটির বেশি ব্যয় হয় পরীক্ষা আয়োজনে। আর দুই কোটির বেশি ব্যয় হয় অন্যান্য খাতে। বাকি ৮ কোটি টাকার বেশি নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়রা করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ইউজিসির আর্থিক বিধিবিধান অনুসারে ভর্তি ফরম বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৪০ শতাংশ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা রাখতে হবে। বাকি ৬০ শতাংশ অর্থ দিয়ে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সার্বিক ব্যয় নির্বাহ করতে হবে।
এদিকে তদন্ত শেষে তদন্ত দলের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র ঘেটে দেখেছি। তদন্তের জন্য হয়ত এখানে আর আসতে নাও হতে পারে। খুব শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘আমাদের কাছে যা যা ডকুমেন্টস চেয়েছে তদন্তের স্বার্থে সব ধরনের ডকুমেন্টস আমরা দিয়েছি।’
অন্যদিকে ৮ কোটি টাকার এই অনিয়মের তদন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) করছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।