মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সেখানে মাইল্ডেনহল বিমানঘাঁটিতে দেওয়া ভাষণে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। বাইডেন জানান, ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে রাশিয়াকে মূল্য দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) এখবর দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্য পৌঁছেছেন বাইডেন। আটলান্টিক চার্টার নিয়ে তিনি বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ১৯৪১ সালে উইনস্টন চার্চিল ও ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের যে ঐকমত্য হয়েছিল, আটলান্টিক চার্টার তারই আধুনিক সংস্করণ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ১৯৪১ সালে আটলান্টিক চার্টার নামক প্রথম সমঝোতা হয়েছিল। বৈশ্বিক স্বার্থরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সাধারণ লক্ষ্য নিয়ে ওই সমঝোতায় সই করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ও আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট।
ইউরোপে আট দিনের সফরে বাইডেন উইন্ডসর ক্যাসেলে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি জি-৭ ভুক্ত দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেবেন। সফরের শেষ দিকে বাইডেন জেনেভায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকানো, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান, মস্কোর সাইবার-হ্যাকিং কার্যক্রম, রাশিয়ায় কারাবন্দি প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পুতিনকে চাপ দেয়ার চেষ্টা করবেন বাইডেন।
গতকাল সাফল্কে আরএএফ মাইল্ডেনহল বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসদস্য ও তাঁদের পরিবারের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, তিনি পুতিনকে স্পষ্ট বার্তা দেবেন। বাইডেন আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে যেতে চাই না। আমরা স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই। তবে আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে রুশ সরকারকে শক্ত ও কার্যকর জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।’
জি-৭ ভুক্ত অন্য দেশের নেতারা ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমের কর্নওয়ালে আগামী শুক্রবার পৌঁছাবেন। এ সপ্তাহের শেষে সেখানে তাঁদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জি-৭ ভুক্ত দেশের মধ্যে রয়েছে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবারের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে করোনা মহামারি। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।