নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদদের নিয়ে সাজানো খেলাঘরের বোলিং আক্রমণ। স্কোরবোর্ডে রান পেলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের যেকোনো দলকেই হারানোর সামর্থ্য ছিল ছোট বাজেটের দলটির। গতকাল আবাহনীকে হারিয়ে সেই সামর্থ্যরে প্রমাণ রাখল খেলাঘর।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের ৬৬ রানে খেলাঘর করে ১৬৪ রান। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ৮ রানে হেরেছে মুশফিকুর রহিমের আবাহনী। টানা তিন ম্যাচে জয়ের পর এবারের লিগে এটি আবাহনীর প্রথম হার। গত তিন ম্যাচের তিনটিতেই আবাহনী জিতেছে মুশফিকের ব্যাটে চড়ে। গতকাল রনি চৌধুরীর অফ স্পিনে মুশফিক দ্রুত আউট (৫ বলে ৮ রান) হলেন, আবাহনীর বাকি ব্যাটসম্যানরা আর ম্যাচ জেতাতে পারেননি। মুশফিক আউট হওয়ার সময় ৩ ওভার শেষে আবাহনীর রান ছিল ২ উইকেটে ১২।
ওপেনার থেকে চারে নেমে নাজমুল হোসেন ৩৩ বলে ৪৯ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ৫৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু আউট হয়ে যান অসময়ে, যখন আবাহনীর জন্য তার উইকেটে থাকা দরকার ছিল। একইভাবে অসময়ে আউট হয়েছেন নাঈমও। ৪৯ রান করেছেন তিনিও, কিন্তু বল খেলেছেন ৪২টি। জিততে শেষ ৪ ওভারে আবাহনীর দরকার ছিল ৪২ রান।
এর আগে খেলাঘরের ওপেনার ইমতিয়াজের ৬৬ রানের ইনিংসটি ছিল ৪৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো। তাঁকে যোগ্য সংগত দেন তিনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করেন মিরাজ, দ্বিতীয় উইকেটে ইমতিয়াজের সঙ্গে তার জুটিটা হয় ৪৬ বলে ৬২ রানের। আবাহনীর হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি ও মোসাদ্দেক।
একই দিনে সাম্প্রতিক সময়ে সব ধরনের ক্রিকেটে রানখরায় ভোগা সাকিব আল হাসান আবারও করলেন হতাশ। তার ব্যর্থতার দিনে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবও ধুঁকল। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও জিয়াউর রহমানের ঝড়ো ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়া শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব তাদেরকে দিল প্রথম হারের স্বাদ। শেষদিকের অগোছালো বোলিং আর ব্যাটিং ব্যর্থতার সমন্বয়ে লড়াই ছাড়াই ১৬ রানে হেরেছে সাদা-কালো জার্সিধারীরা। প্রতিপক্ষের ৫ উইকেটে ১৬১ রানের জবাবে সাকিবরা থামেন ৮ উইকেটে ১৪৫ রানে।
আসরের আগের তিন ম্যাচে জেতা মোহামেডানের হয়ে তিনে নেমে থিতু হওয়ার প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে ছটফট করছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা তারকা। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ঘটে বিপদ। ব্যাটে-বলে সংযোগ না হওয়ায় বোল্ড হয়ে যান তিনি। তার সংগ্রহ ৯ বলে ৩ রান। ষষ্ঠ ওভারে ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। এরপর ৪৮ রানের জুটি গড়েন শামসুর রহমান (২৩ বলে ২৯) ও নাদিফ চৌধুরী (৪৩ বলে ৫৭)। শেষ ছয় ওভারে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ৬৩ রান দরকার ছিল মোহামেডানের। তবে ৪৬ রান তুলতে পারায় লক্ষ্য থেকে বেশ দ‚রে থামে তারা।
সাকিবেরটিসহ এনামুল তিন ওভারে ১৩ রানে নেন ৩ উইকেট। জিয়া চার ওভারে ২ উইকেট দখল করেন ২০ রান খরচায়। উইকেটের দেখা পান ইবাদত হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল আর ইলিয়াস সানিও।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামালের উদ্বোধনী জুটি টিকেছিল সাত ওভার পর্যন্ত। কিন্তু রানের গতি ছিল একেবারে মন্থর। মোহাম্মদ আশরাফুলকে ফিরিয়ে ৩০ রানের এই জুটি ভাঙেন সাকিব। ২৪ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করেন আশরাফুল। চারে নামা নাসির হোসেন টিকতে পারেননি।
বিপর্যয়ে পড়া দলটির হয়ে এরপর জ্বলে ওঠেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল। তিনি সঙ্গী হিসেবে পান জিয়াকে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন বিস্ফোরক জুটিতে আসে ৪১ বলে ৮০ রান। তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী ও আবু হায়দাররা একদমই পাত্তা পাননি তাদের কাছে। নুরুল ফিফটি হাঁকিয়ে করেন ৩৪ বলে ৬৬ রান। তিনি মারেন ৪ চার ও ৫ ছক্কা। জিয়া ১ চার ও ৩ ছয়ে ১৭ বলে ৩৫ রান করেন ১৭ বলে।
মোহামেডানের পক্ষে আগেই বোলিং শেষ করে ফেলা সাকিব চার ওভারে ১২ রানে পান ২ উইকেট। সমানসংখ্যক উইকেট নেন আবু হায়দারও। এই বাঁহাতি পেসার অবশ্য ছিলেন বেজায় খরুচে। তার চার ওভারে আসে ৫৩ রান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।