মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়া প্রায় নিশ্চিত হলেও ইসরাইলে নতুন যে নেতৃত্ব আসতে চলেছে তাতে ফিলিস্তিনিরা আশ্বস্ত নন। ইসরাইলে নতুন সরকার গঠনে বিরোধী নেতাদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তাতে প্রথম দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন নাফটালি বেনেট। এরপর প্রধানমন্ত্রী হবেন বর্তমান সংসদের বিরোধী নেতা ইয়াইয়া লাপিদ। -ডয়েচে ভেলে
সাম্প্রতিক সংঘাতের বেশিরভাগ দায় ফিলিস্তিনিদের বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন সম্ভাব্য নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফটালি বেনেট। ইসরাইলের গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সত্যটা অবশ্যই বলতে হবে। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যে সংঘাত, সেটা এলাকা নিয়ে নয়। ফিলিস্তিনিরা এখানে আমাদের অস্তিত্ব স্বীকার করে না এবং মনে হচ্ছে এই মনোভাব আরো অনেকদিন থাকবে। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলওর একজন প্রতিনিধি বাসেম আল-সালহি বলছেন, যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি নেতানিয়াহুর চেয়ে কম চরমপন্থি নন। তিনি কতটা চরমপন্থি তা প্রমাণের চেষ্টা চালাবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গাজার এক সরকারি কর্মকর্তা আহমেদ রেজিকের কণ্ঠেও একইরকম সুর শোনা গেছে। ‘‘ইসরাইলের নেতাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলে মনে করেন তিনি। ‘‘তারা তাদের দেশের জন্য ভালো কিংবা খারাপ। কিন্তু আমাদের প্রশ্নে তারা সবাই খারাপ এবং তারা সবাই ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও ভূমি ফিরিয়ে দিতে চান না।'' গাজা শাসন করা হামাসও বলছে, ইসরাইলের সরকারে কে নেতৃত্বে আছে সেটা কোনো পার্থক্য নিয়ে আসে না। ‘‘ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলে ডান, বাম, মধ্যপন্থি এমন কয়েক ডজন সরকার দেখেছে। কিন্তু তারা সবাই ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রশ্নে বৈরী মনোভাব দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম। এই প্রথমবারের মতো ইসরাইলি সরকারের অংশ হতে যাচ্ছে একটি ইসলামি দল। ইসরাইলের মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ আরব সম্প্রদায়ের। তারাই ভোট দিয়ে ওই দলকে সংসদে পাঠিয়েছে। এই আরবদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ফিলিস্তিনের মতো, তবে তারা ইসরায়েলের নাগরিক।
ইসলামি ওই দলের নেতা মনসুর আব্বাস বলেন, বিরোধীদের মধ্যে সরকার গঠনের যে চুক্তি হয়েছে, তার আওতায় ইসরাইলের আরব অধ্যুষিত শহরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন ও সেখানে সহিংসতা কমাতে ১৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে। তবে পশ্চিম তীর ও গাজায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন মনসুর আব্বাস। তিনি ‘শত্রু'র পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। মনসুর আব্বাস সম্পর্কে গাজার বাসিন্দা বাদরি করম বলেন, ‘‘তিনি একজন বিশ্বাসঘাতক। গাজায় নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে যখন তার মত চাওয়া হবে তখন তিনি কী করবেন? তিনি কি তাতে সায় দেবেন এবং ফিলিস্তিনিদের হত্যার অংশীদার হবেন?'' পশ্চিম তীরে ইসরাইলের বসতি সম্প্রসারণের কট্টর সমর্থক নাফটালি বেনেট। তিনি সেটা চালিয়ে যেতে চান। তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য কিছু শর্ত সহজ করার পক্ষে তিনি। জানান নাফটালি বেনেট বলেন, ‘‘এ প্রশ্নে আমার ভাবনা হচ্ছে সংঘাত কমিয়ে আনা। আমরা এটার সমাধান করবো না। তবে যেখানে সম্ভব সেখানে শর্ত সহজের চেষ্টা করবো-যেমন আরো ক্রসিং পয়েন্ট বসানো, জীবনমানের উন্নতি করা, আরো ব্যবসা, আরো শিল্প স্থাপন-এসব আমরা করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।